# সংস্কারে ১৪ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে : সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী
মিরাজুল কবীর টিটো : যশোর শহরের পালবাড়ী থেকে মনিহার পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তার মাঝে অনেক ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিকল্প পথ না এ রাস্তাটি প্রতিদিন অনেক পরিবহন ও পথচারী ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছেন, রাস্তা সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হওয়ার পর কাজ শুরু হবে।
শহরের একটি ব্যস্ততম সড়ক পালবাড়ী থেকে মণিহার। প্রতিদিন অনেক যানবাহন পথচারী এ সড়কে চলাচল করে। শহরের মানুষ এখান দিয়ে ঝিনাইদহ ও চৌগাছা আসা যাওয়া করে। আবার অনেকেই মনিহার এলাকা হয়ে নড়াইল ও খুলনার দিকে যাতায়াত করে। জেলার বাইরের অনেক শিক্ষক,শিক্ষার্থী তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে যশোর শিক্ষা বোর্ডে কাজে আসেন। অথচ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে।
দেখা গেছে গত তিন চারদিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে রাস্তার মাঝ থেকে খোয়া পিচ উঠে গিয়ে অনেক ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের কারনে রাস্তাটি চলাচলে জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাড়িয়ে। এ রাস্তার উপশহর বিআরটি অফিসের সামনে দুটি অংশে ভাগ রয়েছে। উত্তর পাশ দিয়ে পরিবহন পালবাড়ীর দিকে চলাচল করে। দক্ষিণ পাশ দিয়ে পরিবহন মনিহারের হয়ে পালবাড়ীর দিকে চলাচল করে। রাস্তার মাঝ খানে আইল্যান্ড রয়েছে পথচারীদের চলাচলের জন্য। বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তার দক্ষিণ পাশের অংশে জায়গায় ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে বাস ও মালবাহী ট্রাক উত্তর পাশের অংশ দিয়ে চলাচল করছে। রাস্তার এক অংশ দিয়ে পথচারী, বাস,ট্রাকসহ ছোটবড় পরিবহন চলাচল করার কারনে রাস্তাটি এখন চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
উপশহর এলাকার বাসিন্দা সাইদ হোসেন জনি বলেন, বিআরটিসি অফিসের সামনের রাস্তাটি অনেক দিন সংস্কার করা হয় না। পানি বের হওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হওয়ার পর রাস্তাটি পুরোপুরি ভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একারনে রাস্তার এক অংশ দিয়ে পরিবহন চলাচল করছে। এতে করে পথচারীদের চলাচল নিরাপদ নয়। একই কথা বলেন, গোহর আলী পাপ্পু, সাইফুল ইসলাম নামে আরো অনেকে।
আরো বেশি খারাপ অবস্থা শিক্ষা বোর্ড অফিসের সামনের রাস্তার উত্তর পাশের অংশে। সেখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাস, ট্রাক,রিকশা ভ্যান চলাচলের কোন উপায় নেই। রাস্তার দক্ষিণ পাশ দিয়ে বেশি পরিবহন চলাচল করছে।
বোর্ডের প্রোগ্রামার মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতিদিন অনেক মানুষ অফিসে কাজের জন্য আসেন। অথচ অফিসের সামনের রাস্তা এতবেশি খারাপ, চলাচল করতে দুর্ভোগ পোতে হচ্ছে। এরাস্তার মোড়ে রয়েছে শিশু হাসপাতাল । শিশুদের চিকিৎসা নিতে আসা অভিভাবকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, পালবাড়ী থেকে মনিহার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের জন্য ১৪ কোটি টাকা টেন্ডার হয়েছে। এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে কাজ শুরু করা হবে। এখন রাস্তা দিয়ে চলাচল করার জন্য রাস্তা মাঝে সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো বন্ধ করে দেয়ার কাজ চলামান রয়েছে। বৃষ্টির কারনে একাজ করলেও থাকছে না।