Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

আবারো জলাবদ্ধতায় পড়তে  যাচ্ছে ডুমুরিয়া অঞ্চল!

এখন সময়: বুধবার, ৯ জুলাই , ২০২৫, ০২:৫৪:৫৭ এম

 

সুব্রত কুমার ফৌজদার, ডুমুরিয়া   : আবারো জলাবদ্ধতায় পড়তে যাচ্ছে ডুমুরিয়া অঞ্চল। পানি নিষ্কাশনের পথ আটকে পড়ায় বৃষ্টির পানিতে ক্রমন্বয় প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। শৈলমারি ১০ ভেন্ট রেগুলেটেরের অবস্থাও বেহাল। পলি পড়ে সবগুলো জলকবাট অচল হয়ে পড়েছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন চলমান থাকলেও বৃহৎ এই অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে আশার আলো একটুও দেখা যাচ্ছে না।

জানা যায়, বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়ার বিশাল একটি অংশের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ শৈলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটর। পলি পড়ে যার সব জলকবাটগুলো অচল হয়ে আছে। গত ৪ বছর যাবত পানি উন্নয়ন বোর্ড বৃষ্টির মৌসুম এলেই তড়িগড়ি বিশেষ জরুরি প্রকল্পের মাধ্যমে গেটের মুখের পলি অপসারণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে আসছে। কিন্তু স্থায়ীভাবে কোন সুরহা হচ্ছে না। গত বছর বৃষ্টির মৌসুমের শেষ দিকে অতি ভারি বর্ষণে বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয়ে পড়ে। ঘর বাড়ি তলিয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, বিএডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ প্রচেষ্টায় পানি নিষ্কাশনের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় ৩ মাস লাগে মানুষের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামতে। আবারো সেই ভয়াবহ দৃশ্য হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে যদিও শৈলমারি রেগুলেটরে পোনে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দে ২টি ৩৫ কিউসেক সম্পন্ন পাম্প চালু হয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে দুই পাম্পে ২ হাজার লিটার পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। কিন্তু ৩৫ হাজার হেক্টরের বৃহৎ এই অঞ্চলের পানি পাম্প দ্বারা নিষ্কাশন জনগণের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। 

এ বিষয়ে উপজেলা বিল কামিটির সভাপতি অধ্যাপক জিএম আমান উল্লাহ বলেন, ডুমুরিয়া-ফুলতার জলাবদ্ধতা নিরসনের একটি মাত্র পথ শৈলমারি রেগুলেটর। প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশন হয় এই গেট দিয়ে। এ অঞ্চলে ব্যাপক জনবসতি এবং ফসলি জমি রয়েছে। গত বছর জলাবদ্ধতা নিরসনে সক্ষম হলেও এবার যে পরিস্থিতি তাতে বোঝা যাচ্ছে ভয়াবহ রূপ নিতে যাচ্ছে জলাবদ্ধতার। পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন মানে আমরা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করছি। অবিলম্বে রেগুলেটের সিলটেড হওয়া জলকপাটগুলো সচল করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি তিনি জোর দাবি জানিয়েছেন।

ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবছর পানি নিষ্কাশনের জন্য আগাম ২টি পাম্প চালু হয়েছে। তবে বৃহৎ এই অঞ্চলের পানি পাম্প দিয়ে নিষ্কাশন সম্ভব না। ফলে আবারো পানিবন্দি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

খুলনা-৫ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি নেতা মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ বলেন, শৈলমারি নদী সিলডেট হওয়ার কারণে গত বছর জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে ডুমুরিয়ার বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল। এবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে চলেছে। দ্রুত গেটের মুখসহ নদী খনন করে এলাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে সংশ্লিষ্ট তদপ্তরসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের-২ নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, পানি নিষ্কাশনে শৈলমারি রেগুলেটের ৩৫ কেউসেকের দুটি পাম্প চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি গেটের মুখে পলি অপসারণেও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। গেটের ভিতরে এবং বাইরে পানির যে স্তর রয়েছে অন্তত দেড় ফুট ডিফারেন্স প্রয়োজন। কারণ ভিতরে পানির চাপ বেশি না হলে বাইরের পলি অপসারণ করা সম্ভব হবে না। আমরা জরুরিভাবে কাজ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় আছি। পানির পর্যাপ্ত চাপ হলেই কাজ শুরু হবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)