নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম যশোর চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ব্যবসায়ীরা বিগত সরকারের জনপ্রতিনিধিদের লালিত সন্ত্রাসীদের কাছে থাকা অস্ত্র উদ্ধারের আহবান জানান। তারা বলেন- যশোরের চিহ্নিত কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তারাই চুরি ছিনতাই করছে। এদেরকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করলে আগামী নির্বাচনে একটি সুষ্ঠূ পরিবেশ তৈরি হবে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে নির্বাচন ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার অপচেষ্টা করছে। এদেরকে নির্মূল করতে না পারলে সামনের নির্ভাচন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। একই সাথে ব্যবসায়ীরা তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আহবান জানান। তারা বলেন, শহরের যানজট প্রকট আকার ধঅরণ করেছে। অবৈধ ইজিবাইক ও রিক্সার বিস্তারে পথ দিয়ে হেঁটে চলা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন তদবির না শুনে শহরকে বাসযোগ্য নগরী গড়তে পুলিশ সুপারের সহযোগিতা আশা করেন ব্যবসায়ীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর চেম্বার অব কমাসর্রে সভাপতি মিজানুর রহমান খান, সম্পাদক তানভিরুল ইসলাম সোহান, সহসভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, মোঃ মনজুর হোসেন মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক এজাজ উদ্দিন টিপু, পরিচালক গোলাম রেজা দুলু, কাশেদুজ্জামান সেলিম, নুর আলম পাটুয়ারী, যশোর মটরপার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসাযী সমিতির সভাপতি শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু, যশোর বিসিকের ব্যবসায়ী সাকির আলীসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় পুলিশ সুপার বলেছেন-যশোরকে বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে অস্ত্রবাজ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের আটক করা হবে। কোনো সন্ত্রাসী অপরাধ করে পার পাবেনা। যাদের কাছে অস্ত্র আছে এমন সন্ত্রাসীদের গোয়েন্দাদের মাধ্যমে চিহ্নিত করে নির্বাচনের আগেই আটক করা হবে।
তিনি বলেন, গত পাঁচ আগস্টের আগের সরকার আমাদের পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনী বানিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিকদলের নিপীড়নের হাতিয়ার বানিয়েছিলো। এখন আর সেই কাজ করানো যাবে না। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ দেশ গড়তে পুলিশ কাজ করবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। পুলিশ ও ব্যবসায়ী সমাজ একসাথে কাজ করলে একটি ভালো সমাজ গড়ে উঠবে।
পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন- ‘যশোরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা করণীয় আপনারা আমাদের প্রতি বিশ্বাস রাখেন, সহযোগিতা করেন অবশ্যই এই জেলাকে সকলের বাসযোগ্য করতে পারবো।
তিনি যশোরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সর্বাঙ্গীন চেষ্টা করবেন জানিয়ে বলেন, ‘এই শহরকে সন্ত্রাসমুক্ত, অস্ত্রবাজমুক্ত, মাদকমুক্ত, কিশোরগ্যাং, যানজটমুক্ত, চুরি-ছিনতাইমুক্ত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পুলিশ কাজ করবে। সেইক্ষেত্রে আপনারা ছাড়াও সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে, এই জেলাকে বাসযোগ্য করা অসম্ভব নয়।’ মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।