ঈদবাজার

যশোরে ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড়

এখন সময়: রবিবার, ২৮ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:০৪:৩২ এম

মারুফ কবীর : রোজার মাসের অর্ধেক শেষ হয়েছে। ফলে ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে খুশির ঈদ। আর বর্ণিল এই উৎসব রাঙাতে নতুন পোশাক কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে মার্কেট, শপিংমল ও পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে। যশোরে শুক্রবার ছুটির দিনে এই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাজারের সড়কে এদিন যেন তীল ধারণের ঠাঁই ছিল না। উপচে পড়া ভিড়ে শহরের বাজারে ও বিভিন্ন শপিংমলে পোশাক কেনাকাটায় মানুষজনকে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের প্রথম দিকে ক্রেতা সমাগম কম ছিল। ঈদ কাছাকাছি চলে আসায় ভিড় বাড়ছে। বেচাকেনাও জমে উঠেছে।
বড় বড় পোশাকের দোকান ছাড়াও এদিন শহরের মুজিব সড়ক ও অন্যান্য রাস্তার পাশের ফুটপাতে জমজমাট পোশাক বিকিকিনি হয়। কাপুড়িয়াপট্টি, এইচ এমএম রোড, সিটি পাজা, জেস টাওয়ার ও মুজিব সড়ক মার্কেটেও উপচানো ভিড় ছিল।
এইচ এমএম রোডের দেখা ফ্যাশানের প্রোপাইটর মান্না দে লিটু বলেন, শুক্রবার ক্রেতার ঢল নেমেছিল। সিটি প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান আজাদ বলেন, রোজার শুরুতে ক্রেতা সমাগম ছিল। কিন্তু এখন ক্রেতা বেড়েছে বহুগুন।
মুজিব সড়কের রঙ ফ্যাশনের বিক্রয় কর্মী রহমান বলেন, সকালে কম থাকলেও বিকেলে ক্রেতার চাপ ছিল অনেক। স্টেডিয়াম পাড়ার হকার্স মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রুবেল শেখ বলেন, আমাদের মার্কেটেও ব্যবসায় ভালো হচ্ছে।
শহরের মর্ডান টেইলার্সের প্রোপাইটর রুহুল আমিন বলেন, শুরুতে তেমন না পেলেও এই শুক্রবারে ভালো অর্ডার পেয়েছি। কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেটের পোশাকের দোকান হ্যাভেন ড্রেসের প্রোপাইটর সুমন বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় আমাদের মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরামহীন বেচাকেনা করেছি।
যশোর শাড়ি কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তন্ময় সাহা বলেন, শাড়ি বিক্রি এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় ভালো।
এইচ এমএম রোডের শিশুদের পোশাকের দোকান ডরেমনের প্রোপাইটর নাজমুল ইসলাম রিপন বলেন, শিশু পোশাকের দোকানিরা ভালো বেচাকেনা করেছেন।
তিনি বলেন, বড়রা নিজেদের পোশাক না কিনলেও বাচ্চাদের জন্য সাধ্যমতো ঈদের পোশাক কিনেছেন।
জেস টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা এমএ আকসাদ সিদ্দীকি শৈবাল বলেন, আমাদের শপিংমলে পোশাকের দোকান কম। তারপরও শুক্রবার চাপ ছিল প্রচুর।