নিজস্ব প্রতিবেদক: রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীরা হয়ত ভাবছে ছেলেটাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেধে নির্যাতন করছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু না- কাছে গেলেই বোঝা গেল তারা এভাবে জন্মদিনের সেলিব্রেট করছে। এ দৃশ্য দেখে রীতিমত অবাক হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। কারণ শহরে যে হারে কিশোর অপরাধী বেড়েছে তাতে সেটায় মনে করতে পারে তারা। অবশ্য এ ঘটনায় যে ধুলো ছিটাচ্ছে সে নাকি দুটি হত্যা মামলার আসামি !
রাস্তার পাশে বন্ধুকে বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে বেঁধে তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত ছিটানো হচ্ছে রাস্তার ধুলো ময়লা এবং ময়লা আবর্জনা মিশ্রিত ড্রেনের পানি। ৪-৫জন কিশোর মিলে একজনকে ওই ভাবে সম্বোধন করছে। ওই সম্বোধনের দৃশ্য আবার কয়েক কিশোর ভিডিও ধারনও করেছে।
এটা করা হয়েছে প্রকাশ্যে যশোর শহরের ব্যস্ততম সড়ক জেল রোডের সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে। যশোরের এক সাংবাদিকের ধারন করা ভিডিও ও ছবিতে এই দৃশ্যটি দেখা গেছে। তিনি ওই ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করলে তা রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে এর সাথে জড়িতদের আটকের দাবি জানিয়ে বলেছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অপরাধ প্রবণতা ঘটতেই থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বেঁধে রাখা কিশোরের নাকি ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন ছিল। তার জন্মদিন পালনের জন্য কিশোরকে পিঠমোড়া দিয়ে ব্যস্ততম রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে বেঁধে রাখে। এরপর ধুলোবালি ও ড্রেনের ময়লাযুক্ত পানি দিয়ে শরীর ভিজিয়ে দেয়া হয়। ওই দৃশ্য আবার কয়েক বন্ধু ভিডিও ধারন করছে। ওই ভিডিও আবার তারা ফেসবুকে আপলোড করবে। এই দৃশ্যটি ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন অবলোকন করে। অনেকে অবাক হয়ে যান। পরে যখন জানতে পারে জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে তা শুনে হতবাক হন। এটা আবার কোন ধরনের জন্মদিন উদযাপন বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
অনেকে মন্তব্য করেছেন, অপরাধী কিশোর চক্র যশোরে আর কি করবে। এটা কি কোন শিক্ষনীয় বিষয় যা ইয়ার্কির নামে প্রকাশ্যে করা হলো ? এটা থেকে প্রতীয়মান হয় যে কিশোরচক্র যশোরে যা খুশি করতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্ম গুলো এভাবে সামাজিক অপরাধ করেই চলেছে।
জানাগেছে, ওই সাংবাদিক যখন ভিডিও করেন সে সময় একজন কিশোর তার দিকে তেড়ে আসে। তিনি ভয়ে ভিডিও করছি না বলে জানলে ওই কিশোর নিবৃত হয়। তবে সাংবাদিক গোপনে কিছুটা ভিডিও করে এবং তা ফেসবুকে আপলোড করলে তা সাথেসাথে ভাইরাল হয়।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে যে কিশোর সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসে তার নাম বিপ্লব। সে নাকি দু্িট হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। হত্যা মামলায় জামিনে এসে সে আরো বেপরোয়া চলাফেরা করছে। ফলে রাস্তার পাশে প্রকাশ্যে এই ধরনের কর্মকাণ্ড করতে কোন দ্বিধা করছে না।