‘নিজের ভোটটিও দিতে পারেননি নৌকার প্রার্থী মিতা’

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৪০:৫২ পিএম

খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৪নং খর্নিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরোজা খানম মিতার উপর নির্বাচনের দিন হামলা হয় এবং  প্রচারণাকালে তাকে  ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ৪নং খর্নিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরোজা খানম মিতা বলেন,  ২য় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন ১১ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক  পৌনে দুইটার দিক খর্নিয়া লোহাগড়া নামক স্থানে আলী নবী স্যারের বাড়ির পাশে তিনি হামলার শিকার হন। তিনি বলেন, আসলিম মোড়ল, সবুজ শেখ, ফজলু মোড়ল ও লিটন ফকির সহ অজ্ঞাত আরো চার পাঁচজন আচমকা মোটরসাইকেল যোগে রাস্তার দুই দিক থেকে এসে চাইনিজ কুড়াল লোহার রড, ক্ষুর-চাকু নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।  আসলিম মোড়ল তাকে লাথি মেরে তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে খুন করার উদ্যেশ্যে তার গলায় পোচ দিলে সেই পোচ গলায় না লেগে তার মাথায় লাগে এবং তিনি তখন মারাত্মকভাবে জখম হয়। তিনি আরো বলেন, সবুজ শেখ, ফজলু মোড়ল ও লিটন ফকির তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে ড্রাইভার রুবেল হাওলাদার ও মোস্তফা ইউনুস মোড়ল তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ভর্তি করে।
তিনি আরো বলেন, তিনি তার নিজের ভোটটিও দিতে পারেননি। এছাড়াও এই হামলার বিষয়ে ডুমুরিয়া থানায় এজাহার দিতে গেলে ও তাকে নানা টালবাহানা করে ফিরিয়ে দেয় এবং কোর্টে মামলা করার পরাপর্শ দেন থানার অফিসার ইনচার্জ। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে তিনি গত ৬ নভেম্বর তাকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করায় তিনি ডুমুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন। সেটিও ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আমলে নেয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি  জানান। তিনি বলেন, তার নির্বাচনি এলাকার তিতনা কেন্দ্রের এজেন্ট আবু তালেবকে নির্বাচনের আগের দিন রাতেই কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এবং কোন কেন্দ্রেই এই প্রার্থীর কোনো সমর্থককে অবস্থান করতে দেয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের আগে তার মিছিলে পদে পদে বাধা দিয়েছে প্রশাসন। তিনি আরো বলেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ৩দিন আইসিইউতে  ছিলেন এবং একটু সুস্থবোধ হওয়ায় বুধবার এ সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন তিনি। তার মাথায় ৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার নিরাপত্তা ও  সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।