মহেশপুরে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উন্নয়ন বরাদ্দের টাকায় উপকরণ কেনাবেচার অভিযোগ

এখন সময়: সোমবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:৪৫:২০ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক,মহেশপুর : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের স্লিপ, রুটিন মেরামত ও প্রাক প্রাথমিক বরাদ্দের টাকায় কম দামে বিভিন্ন উপকরণ কিনে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বরাদ্দের ওই টাকা সংশ্লিষ্ট স্কুলের অ্যাকাউন্টে দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। এ ছাড়াও অফিস খরচের নামে প্রত্যেক স্কুল কর্তৃপক্ষকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ওই কর্মকর্তাকে দিতে হয় বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য প্রতিবছর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্লিপ বরাদ্দ দেয়া হয় ৪০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। রুটিন মেরামত বাবদ ৪০ হাজার টাকা ও প্রাক প্রাথমিক বরাদ্দ দেয়া হয় ১০ হাজার টাকা। ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী কিনবেন ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজে বরাদ্দের টাকা ব্যয় করবেন। এমনটিই সরকারি নীতিমালা। আর বরাদ্দের টাকা স্ব স্ব বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে দেয়ার নিয়ম।
কিন্তু উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসার আসাদুজ্জামান নিজে বিভিন্ন উপকরণ কম দামে কিনে প্রধান শিক্ষকদের কাছে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন। ৬ বছর ধরে এ উপজেলায় কর্মরত থেকে তিনি এভাবে বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতি বছর অফিস খরচ বাবদ বিদ্যালয় প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা নেন তিনি। কোনো প্রধান শিক্ষক টাকা দিতে দেরি করলে গালিগালাজ করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হয়। এই কথাটুকুই বলেই মোবাইল ফোন কেটে দেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বা শিক্ষকেরা এখনো পর্যন্ত এসব নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।