জনপ্রিয় এমপি আফিল উদ্দিনকে নিয়ে বিতর্কিত লিটনের নির্লজ্জ মিথ্যাচার, হাস্যরসের সৃষ্টি

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ১০:৩৯:৩১ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য জনপ্রিয় আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন বিতর্কিত আশরাফুল আলম লিটন। তিনি এমপি আফিল উদ্দিনকে নিয়ে মনগড়া কল্পকাহিনি সাজিয়ে বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চে হিরো সাজার চেষ্টা করেছেন। সেই বক্তব্য আবার ছাপা হয়েছে নিজের মালিকানাধীন পত্রিকায়। এতে নিজের ঢোল নিজেই পেটানোর মতো অবস্থা হয়েছে। আর আশরাফুল আলম লিটন যে বিষয়টি ইস্যু করে সম্মানহানীর চেষ্টা করেছেন সেই বিষয়ে আদৌ কথা বলেননি এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। ফলে হিরো সাজতে গিয়ে তিনি (লিটন) ভিলেনে পরিণত হয়েছেন। তার এমন মিথ্যাচারে শার্শা উপজেলা জুড়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।  

গত ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার লক্ষণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠান করে। সেখানে অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানে শেখ আফিল উদ্দিন বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। যার প্রমাণ ইতিমধ্যে আপনারা পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দেশ কীভাবে চলেছে তা আপনারা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। দেশের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভাতা পান না। বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে সব ধরনের ভাতা আজ দেশের মানুষ ভোগ করছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের ব্রত  হলো মানুষের কল্যাণে কাজ করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কাজ করে আজ দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এ সরকার গ্রামের মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। দেশে কোনো আশ্রয়হীন বা ভূমিহীন ব্যক্তি থাকবে না এ ব্রত নিয়েই শেখ হাসিনার সরকার এগিয়ে চলেছে।

এদিকে, ২৭ এপ্রিল লক্ষনপুর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত একটি ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনকে নিয়ে মনগড়া ও বানোয়াট মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই জনপদের একজন সংসদ সদস্য লক্ষনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা শিষ্টাচার লংঘন। ওই সংসদ সদস্য বলেছেন “আমি লক্ষণপুরে চেয়ারম্যান দিতে পারলাম না এবং এই ইউনিয়নের কুকুরগুলোকে মানুষ বানাতে পারলাম না”। এভাবে আরও নানা মিথ্যাচারের মাধ্যমে সংসদ সদস্যের সম্মানহানীর চেষ্টা করেন তিনি। এমন কল্পকাহিনি সাজিয়ে পরের দিন তার ( আশরাফুল ইসলাম লিটন) মালিকানাধীন পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। নিজের অবস্থান ঠিক করতে একজন জনপ্রিয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে বানোয়াট ও মিথ্যাচার করায় অনেকে লিটনকে ভর্ৎসনা করেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সালেহ আহমেদ মিন্টু জানান, সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিনের আপ্রাণ চেষ্টায় শার্শায় আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি তৈরি হয়েছে। জনগণের ভালোবাসায় তিনি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার জনপ্রিয়তা দেখে সাবেক মেয়র লিটন দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে পাগলের প্রলাপ বকতে শুরু করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল জানান সেই দিনের ইফতার মাহফিলে সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিনের সাথে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। নানা বক্তব্যের ফাঁকে সংসদ সদস্য বলেছিলেন, ২১ বছরের চেষ্টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে কেউ চেয়ারম্যান মেম্বর বিজয়ী হলে নিজে গর্বিত মনে হয়। সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়েছিলেন তিনি। অথচ পরের দিন আরেকটি ইফতার মাহফিলে সাবেক মেয়র লিটন মনগড়া বক্তব্য দিয়ে সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিনের ওপর দায় চাপিয়ে দেন। ওই দিন সংসদ সদস্য যেসব কথা বলেননি তাও রঙ লাগিয়ে উপস্থাপন করেছেন লিটন। নিজের ঢোল নিজে পেটানোর জন্য তার মালিকানাধীন দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকায় প্রকাশও করা হয়েছে। এই ধরণের মনগড়া ও মিথ্যাচারের চরম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ইব্রাহিম খলিল। এক প্রশ্নে তিনি জানান, সাবেক মেয়র লিটন উপজেলা আওয়ামী লীগকে খণ্ড খণ্ড করার জন্য নানাভাবে তৎপর রয়েছেন। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য লিটন একাই যথেষ্ট।

অথচ এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের বদান্যতায় এই নির্লজ্জ লিটন বেনাপোলের পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। চেয়ার পেয়েই লিটন সব ভুলে যান ও শেখ আফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করতে থাকেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।