তীব্র শীতেও বসে নেই কৃষক

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:৩৫:৫৩ এম

# ঘন কুয়াশা মাড়িয়ে কাদা পানি মেখে বোরো চাষ

অসীম মোদক, মহেশপুর : গত কয়েক দিন ধরে বেড়েছে কুয়াশা ও শীতের দাপট। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সকালে দেরি করে খুলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সন্ধার পর পরই অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হওয়ায় চারপাশ হয়ে যাচ্ছে জনমানবহীন। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের স্থবিরতা নেই। হাড়কাপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাকডাকা ভোরে উঠে কাদা মাঠে নেমেছেন গ্রাম বাংলার কৃষকরা। শীত সব সময় তাদের কাছেই যেন হার মানে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৮০৪৫ হেক্টর ধরা হয়েছে। তবে এবার বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন।

সরজমিনে মহেশপুর পৌর এলাকার পাতিবিলা,শ্রীরামপুর,শংকরহুদা,কালুহুদার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে,ভোর বেলায় প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যেও কৃষকেরা দলবেধে বোরো ধানের চারা রোপন করছেন। কৃষক হযরত আলী বলেন,শীতের ভয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবেনা, আমরা এসময়ে বসে থাকলে পরিবার ও দেশের মানুষের পেটে ভাত জুটবে কিভাবে। অন্য এক কৃষক আবু কাশেম বলেন, আমরা বসে থাকলে সমস্যা শুধু আমদের হবে না গোটা দেশের সমস্যা হবে। মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ খাবে কি। পৌর এলাকার পোলের মাঠের দিকে মাথায় বোরো ধানের চারা নিয়ে যাচ্ছিলেন ইন্তা ও মোস্তফা নামের দুই কৃষক। তারা বলেন, শুনেছি মাঘের শীতে নাকি বাঘ কাপে। মাঘের শীত শুরু হয়ে গেছে। বিকাল থেকেই কুয়াশা শুরু হয়। রাতে টিনের চালে টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝরে কুয়াশা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেলেও কুয়াশাচ্ছন্ন থেকে যায় চারপাশ। তবে কুয়াশ বা শীত আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। তারা আরও বলেন প্রাকৃতিক বির্যয়ের সম্মুখীন না হলে ক-দিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধান ক্ষেত। তার পর সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী জানান, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বোরো ধান রোপনের ধুম পড়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ১৮০৪৫ হেক্টর ধরা হয়েছে। তবে ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সরিষা,মসুর ও গম আবাদ কম হওয়ার কারণে  চাষিরা বোরো আবাদে ঝুঁকেছেন। যার ফলে এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হবে বলে ধারনা করছেন।