শরণখোলার বাঘ হাবিব জামিনে মুক্ত, উৎকন্ঠা

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:৪৫:১৬ এম

আ. মালেক রেজা, শরণখোলা (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় আলোচিত হাবিব তালুকদার (৫০) ওরফে বাঘ হাবিব জেল থেকে জামিন পেয়েছেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়েছে। তিনি আবারও বনে প্রবেশ করে বাঘসহ বন্যপ্রাণি শিকারে লিপ্ত হতে পারেন বলে বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা আশঙ্কা করছেন। 

বাঘ হাবিব উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা  গ্রামের এক সময়ের দুর্ধর্ষ বনদস্যু বাদল পেয়াদার প্রধান সহযোগী কদম আলী তালুকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি নিধন আইনে বনবিভাগের দায়ের করা আটটি মামলা রয়েছে।

সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপের (সিপিজি) সদস্যরা জানান, হাবিবের পরিবারের অনেকেই সুন্দরবনের বন্যপ্রাণি হত্যার সঙ্গে জড়িত। সে অনেক বছর ধরে বাঘ, হরিণ ও কুমির শিকার করে আসছে। তাছাড়া ৭০টি বাঘ শিকার এবং বন্যপ্রাণির চামড়া, মাংস ও কঙ্কাল বিক্রি  করেছেন। যা  হাবিবের একার কাজ নয়। এর পিছনে অর্থ যোগানদাতাসহ গডফাদার রয়েছে। এসব গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘ হাবিব বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে ৭০ বাঘ হত্যার অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।

শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আব্দুল মান্নান জানান, হাবিব বনবিভাগ ও পুলিশের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। তার বিরুদ্ধে বনবিভাগের দায়ের করা দুইটি বাঘের চামড়া ও ছয়টি হরিণের চামড়া পাচারের মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. সামসুল আরেফিন জানান, হাবিব তালুকদার ওরফে বাঘ হাবিব জামিন পেলেও তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন জানান, হাবিবের জামিনের পর নজরদারি বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সুন্দরবনে বাঘসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি হত্যায় অভিযুক্ত বাঘ হাবিবকে ২০২১ সালের ২৮ মে রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মধ্য সোনাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। সাত মাস কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।