বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপ ভাইরালের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান; সৌদি আরব থেকে ওমরাহ শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান বলে জানান এ চিত্রনায়িকা।
মঙ্গলবার বিকালে এক ফেইসবুক পোস্টে মাহি বলেন, “ওমরাহ থেকে ফিরেই আমার প্রথম এবং একমাত্র চাওয়া আমি আমাদের সবার অভিভাবক , আমাদের মমতাময়ী মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র সাথে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখা করতে চাই। অনেক কিছু বলার আছে।
“এই মনোবাসনা নিয়েই আমি মক্কা ত্যাগ করবো। আমার বিশ্বাস এই চাওয়া ব্যর্থ হবে না।”
স্বামী রাকিব সরকারকে নিয়ে ওমরাহ পালন করতে ২৪ নভেম্বর সৌদি আরব যান মাহি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে থাকা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মুরাদ হাসানের একটি টেলিফোন আলাপের অডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলতে এবং হুমকি দিতে শোনা যায় এক ব্যক্তিকে। বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি মুরাদ হাসান, আর ওই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
সোমবার রাতে মক্কা থেকে এক ফেইসবুক লাইভে সেই কথোপকথনের সত্যতা জানিয়ে এক ফেইসবুক লাইভে মাহি বলেন, “আল্লাহর কাছে বলি, আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি, যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি, কোনো কোনো না কোনোভাবে তিনি তার রেজাল্টটা পেয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।”
“আমার কোনো দোষ ছিল না, আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।”
অডিও ফাঁস হওয়ার পর গত কয়েক দিন ধরেই তুমুল আলোচনা চলছে মুরাদকে নিয়ে। এর মধ্যে সোমবার তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন।
২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় ‘ভালোবাসার রঙ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে রাজশাহীর মেয়ে মাহির।
পরবর্তীতে ‘অগ্নি’, ‘কী দারুণ দেখতে, ‘দবির সাহেবের সংসার’, ‘অনেক সাধের ময়না’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’সহ বেশ কয়েকটি আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন মাহি। তাকে নিয়ে ওমরাহ পালনে গেছেন তিনি।
এর আগে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি; তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।