দুবলারচরের শুটকি পল্লিতে ২ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:০৫:২০ পিএম

# অসময়ে টানা বর্ষণ
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সাগর দ্বীপ দুবলারসহ কয়েকটি চর  ডুবে গেছে এবং পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় কোটি টাকার শুটকি মাছ। ফিশিংবোট ও জেলেরা  নৌকাবহর নিয়ে সুন্দরবনের খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
দুবলার মাঝেরকেল্লা থেকে শরণখোলার জেলে ইউনুস আলী ফকির সোমবার (৬ ডিসেম্বর)  মোবাইল ফোনে জানান, শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের ঝড় দুবলারচর অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায়। প্রবল বর্ষণের সাথে বঙ্গোপসাগরের পানি ৩/৪ ফুট বেড়ে যায়।
জলোচ্ছ্বাসে মাঝেরকেল্লা আলোরকোলসহ আশপাশের চরসমূহ ডুবে যাওয়ায় কোটি টাকার শুটকি মাছ ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মাছ সাগরে ভেসে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে জেলেদের অস্থায়ী ছাউনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জেলেরা দুর্ভোগে পড়েছেন বলেও জানান ওই জেলে।
শনিবার রাতে আলোরকোলে জেলেদের মাছ শুকানোর মাঁচা ও খোলা (মাঠ) ৩/৪ ফুট সাগরের পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় শত শত জেলের মাছ ভেসে যায় ও ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। জেলেদের থাকার এবং রান্নাবান্নার জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
দুবলার আলোরকোলের নিউমার্কেটের এলাকার মাছ ব্যাবসায়ী মো.শুকুর আলী মীর জানান,স¦াভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানি বেশি হওয়ায় নিউমার্কেট এলাকার ব্যাবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে দুবলারচর সহ কয়েকটি চরের জেলেদের অনেক ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফান ও ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে মাটি ধুয়ে দুবলারচরের মাছ শুঁকানোর খোলা (মাঠ) নিচু হয়ে যাওয়ায় অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে মাছ শুঁকানোর এই জায়গা ডুবে যায়।
এসময়  সমুদ্র থেকে বালু উত্তোলন করে চরের ভূমি উঁচু করে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান তিনি। অনুমতি পেলে নিজেরাই বালু উত্তোলন করে নিতে পারেন বলে জানিয়েছেন ফিসারমেন গ্রুপের সভাপতি।
পূর্বসুন্দরবন বিভাগের জেলেপল্লীর দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায় মুঠোফোনে জানান, মঙ্গলবার রাতে জলোচ্ছ্বাসে দুবলার আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়ীয়া ও শ্যালারচর তিনফুটেরও বেশি পানির নিচে ডুবে যায়। ফলে জেলেদের বিপুল পরিমাণ শুটকি মাছ সাগরে ভেসে গেছে এবং অনেক মাছ ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রাথমিক অনুমানে জেলেদের দুইকোটিরও বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় অনেক ফিশিংবোট ও জেলে নৌকা সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।