নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরের বেজপাড়া বিহারী কলোনীর এনায়েত আলী (৭৩)। বয়সের ভারে তার শরীরে বেঁধেছে নানা রোগ। এরমধ্যে চোখেও দেখেন কম। অর্থের অভাবে নিতে পারেন না চোখের চিকিৎসা। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বেজপাড়ায় বসে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প। সেখানে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকের চিকিৎসা। এনায়েত আলী বলেন, আজ ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পে ডাক্তার দেখিয়েছি, তারা চোখ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ড্রপ ওষুধ দিয়েছে। কয়েকদিন পর ছানি পড়া চোখ অপারেশন করবেন। এজন্য ইকোকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুধু এনায়েত আলী নয়; এদিন যশোর শহরের শতাধিক হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষ চক্ষু রোগের চিকিৎসা পেয়েছে। সাথে পেয়েছেন ওষুধও। শুক্রবার দিনব্যাপী শহরের বেজপাড়া মেইন রোডে আয়োজন করা হয় ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প। বেসরকারি সংস্থা ইকোর আয়োজনে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পেয়ে খুশি এসব হতদরিদ্র পরিবারেরা। দিনভর চিকিৎসা দিয়েছেন বাংলাদেশ চক্ষু বিজ্ঞাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক চিকিৎসক যশোরের স্বনামধন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহমুদুর রহমান।
আয়োজকরা জানান, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে এখানে শতাধিক চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে সেবা ও ওষুধ দেয়া হয়েচে। এদের মধ্যে থেকে বাছাই করা ১০ জন রোগীকে পরবর্তীতে চোখের ছানি অপারেশন ও আমেরিকান লেন্স স্থাপন করা হবে। এছাড়াও প্রাথমিক পর্বে রোগীদের বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, পরামর্শপত্র, ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
সেবা পেয়ে খুশি বেজপাড়ার বাসিন্দা ললিতা রাণী (৫৫)। তিনি জানান, অনেকদিন ধরে চোখে যন্ত্রণা করে। আজকের (শুক্রবার) ক্যাম্পে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে। ওষুধও দিয়েছে। দ্রুত উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
ইকোর প্রজেক্ট অফিসার আবদুল কাদের জানান, ইকোর অর্থায়নে শুক্রবার বেজপাড়ায় ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এর আগেও আমরা চাঁচড়ায় ও মণিরামপুরে দুটি ক্যাম্প করেছি।
সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে যশোরের চাঁচড়াস্থ ইকো ট্রেনিং সেন্টার কাজ করছে। একই সাথে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ইকো জিএল ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানে এতিম শিশু ও হতদরিদ্ররা বিনামূল্য থাকা-খাওয়াসহ লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে।