৩০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে স্পেন প্রবাসী নারীকে মারপিট, আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে স্পেন প্রবাসী এক নারীকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মারপিটের ঘটনায় তার স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের মল্লিকপাড়ার সেকেন্দার আলীর মেয়ে চাঁদনী আক্তার এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (সিআইডি) যশোরকে আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলো, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ৩২ নম্বর ডিগ্রিচর গ্রামের খায়রুল রশিদ ওরফে হারুনের দুই ছেলে নজরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম এবং বাহারুল ফকিরের ছেলে মাজেদ ফকির।

বাদী চাঁদনী আক্তার মামলায় বলেছেন, আসামি নজরুল ইসলাম তার স্বামী। ২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বাদীর বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছর পরই বাদীকে স্পেনে নিয়ে যায় তার স্বামী। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম হয়। ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি স্পেনে বাদীকে মারপিটের কারণে সেখানকার পুলিশে দেয়া হয় তার স্বামীকে। পুলিশের কাছ থেকে মুচলেকা দিয়ে তার স্বামী নজরুল ইসলাম মুক্তি পায়। এরপর থেকে বাদী ও তার দু’টি সন্তানদের কোনো ভরণ-পোষণ দেয়না তার স্বামী। ফলে ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ দেশে নিয়ে এসে বাদীকে তার স্বামী তালাক প্রদান করে। ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল বাদী সন্তান দু’টি নিয়ে আবারও স্পেনে যান। ১১ এপ্রিল থেকে স্পেন সরকার বাদী ও তার সন্তানদের ভরণ-পোষণ বাবদ প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়। ১৭ এপ্রিল তাদের বসবাসের জন্য স্পেন সরকার একটি বাড়ি বরাদ্ধ দেয়। এরপরও বাদী ও তার সন্তানদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে থাকে তার স্বামী। ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর বাদী জিনারুল হক চঞ্চল নামে একজনের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে বাদীর বর্তমান স্বামীর বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একই সাথে তার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে বাদীকে খুন করার হুমকি দেয়। এই ঘটনায় থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি এমনি কি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে এদিন আদালতে এই মামলাটি করেছেন।