চতুর্থ সন্তানও মেয়ে তাই পুকুরে ফেলে দিলেন, মা আটক

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০১:৪০:৫৭ এম

তপন চক্রবর্তী, তালা (সাতক্ষীরা): চতুর্থ সন্তানও মেয়ে হওয়ায় পুকুরে ফেলে দিলেন মা। ঘটনাটি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের। এ ঘটনায় পুলিশ নবজাতক হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহ মা শ্যামলী ঘোষকে (৩৫)  আটক করেছে।

মঙ্গলবার (১জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে নবজাতকের লাশটি ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে তালা থানা পুলিশ পুকুর থেকে ওই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে।  উদ্ধার করা নবজাতকের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মৃত বিষ্টু পদ ঘোষের ছেলে মানিক ঘোষের স্ত্রী শ্যামলী ঘোষ গত ২৫ মে (মঙ্গলবার) রাত ৯টার দিকে একটি কন্যা শিশু প্রসব করেন। পরের দিন (২৬ মে) বুধবার থেকে তার স্বামী মানিক ঘোষ বাড়ির কাউকে কিছু না বলে নিরুদ্দেশ হয়। এরপর ৩১ মে সোমবার রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় মায়ের কাছ থেকে নবজাতক শিশুটিও হারিয়ে যায়।

পরের দিন মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে বিষয়টি প্রচার হলে টনক নড়ে এলাকাবাসীর। পরিবারসহ গ্রামের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় শিশুটিকে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং বিষয়টি  প্রশাসনকেও অবগত করে। বাড়ির পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

শ্যামলীর পারিবারিক সূত্র জানায়, মানিক-শ্যামলী দম্পতির এর আগেও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এবারও তাদের কন্যা সন্তান হয়েছে। যেকারণে হত্যা করা হতে পারে নবজাতকটি।

তবে এলাকাবাসী বলছে, ৪র্থ বারের মত মেয়ে শিশুর জন্ম হওয়ায় খুশি হতে পারেননি মানিক। তাই বাড়ি ছাড়া হয়েছিলেন। এখন মৃত্যুর সংবাদে বাড়ি ফিরেছেন। ম্যামলী বাধ্য হয়ে এ কাজ করতে পারে অথবা মানিক নিজেও হত্যা করে থাকতে পারে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিকাশ মন্ডল জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। শিশুটি হারিয়ে যাওয়ার খবরে তারা দিনব্যাপী ব্যাপক খোঁজাখুজি করেছিলেন।

তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর বাইরে এখন কিছু বলা যাবে না।