নিরাপত্তাহীনতায় চুড়ামনকাটির চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার কর্মী সমর্থকদের হামলার ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের মহড়ায় তিনি রীতিমতো ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তার আশঙ্কা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার নির্দেশে যে কোন সময় তাকে হত্যা বা হত্যার চেষ্টা করা হতে পারে। সোমবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চুড়ামনকাটি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

দাউদ হোসেন জানান, ২৬ জানুয়ারি বিকেলে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়রম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার কর্মী সমর্থকদের পিটিয়ে জখম করে। এতে তার ভাইপোসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এই ঘটনায় তিনি রাতে ৩৯ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা এখনো এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়নি।

চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন আরও জানান, ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে মহড়া দিচ্ছে। তাদের মধ্যে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকার একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আছে। যে কোনো সময় ওই সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করতে পারে। দাউদ হোসেনের ধারণা, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না তাকে হত্যা করার টার্গেট নিয়ে সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে। ফলে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ইতোমধ্যে তিনি বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। 

প্রেসবিফিংয়ে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন, ইউপি সদস্য রেশমা খাতুন, নাজমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী আলমগীর ওরফে আলম খুনের আসামিরা দাউদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তাকে (মুন্না) যে কোন সময় হত্যা চেষ্টাসহ বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। বরং তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।