কানাডা প্রবাসীর কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ‘সেই’ নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:২০:২৯ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারণার মাধ্যমে কানাডা প্রবাসীর নগদ সাড়ে ৪৭ লাখ ও বাড়ি ভাড়ার টাকাসহ প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্ত্রী শরিফা আক্তার পিয়ার বিরুদ্ধে এবার যশোর আদালতে প্রতারণার মামলা হয়েছে। রোববার শহরে কাজীপাড়া পুরাতন কসবার শহীদ মশিউর রহমান সড়কের মৃত এরশাদ হোসেন সিদ্দিকের ছেলে কানাডা প্রবাসী মাসুম হোসেন সিদ্দিক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি শরিফা আক্তার পিয়া বর্তমানে পুরাতন কসবা শহীদ মশিউর রহমান সড়কের জরিনা ম্যানসনের বাসিন্দা ও শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের মৃত শফি মিয়া ওরফে মন্টু মিয়ার মেয়ে।

এর আগে মাসুম হোসেন সিদ্দিক তার স্ত্রী শরিফা আক্তার পিয়া ও এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিবাহ বর্হিভুত সর্ম্পক ও ব্যভিচারের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছিলেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মাসুম হোসেন সিদ্দিক কানাডা প্রবাসী। ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর মাসুম হোসেন সিদ্দিক স্বামী পরিত্যক্ত দুই কন্যাসহ শরিফা আক্তার পিয়াকে বিয়ে করেন। শরিফা তার দুই কন্যাকে নিয়ে তার স্বামীবাড়ি পুরাতন কসবার জেরিনা ম্যানসনে বসবাস করতেন। এরপর মাসুম তার স্ত্রী শরিফাকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই বছর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল মাসুম হোসেন কানাডা চলে যান।

শরিফার পাসপোর্টের তদন্তে আসেন এসআই জসিম শিকদার। জসিম শিকদার বিভিন্ন কাজের অজুহাতে শরিফার সাথে দেখা করতেন। একপর্যায়ে শরিফা তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০২১ সালের ৭ আগস্ট মাসুম হোসেন কানাডা থেকে দেশে ফিরে আসেন। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে শরিফার অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন মাসুম হোসেন। ওই বছরের ২২ অক্টোবর শরিফাকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন পুলিশ কর্মকর্তা জসিমের সাথে। মাসুম-শরিফার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের দুরত্ব সৃষ্টি হয় এদিন থেকে। মাসুম তার স্ত্রীর কাছে কানাডা থেকে বিকাশ ও মানি একচেঞ্জের মাধ্যমে বিপুল পরিমানে টাকা পাঠান। যার মধ্যে ২০১৬ থেকে বাড়ির ভাড়াটিয়া বিকাশ এজেন্ট রেজাউল হকের মাধ্যমে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৬২ টাকা ও মানি একচেঞ্জের মাধ্যমে ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৪শ’ টাকাসহ বাড়ি ও দোকান ভাড়ার প্রায় কোটি টাকা শরিফাকে দেয়া হয়। এ টাকার হিসাব চাইলে শরিফা হিসাব না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। এর মধ্যে পাঠানো টাকা দিয়ে বাড়ি-ঘর মেরামতসহ ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা করার কথা থাকলেও শরিফা কোন কিছু না করেই টাকা আত্মসাত করেছেন। এ টাকা ফেরত চাইলে শরিফা টাকা না দিয়ে তার বাড়িতে পৃথক ভাবে বসবাস করছেন। এর মধ্যে শরিফা তার স্বামী মাসুমকে তালাকের নোটিশ দিয়েছেন যা কার্যকর হওয়ার সময় হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তিনি বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ও বাড়ি এবং দোকান ভাড়ার টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।