শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা উপস্থাপন বিষয়ক সভা

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৫:০৫:৫৬ পিএম

খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন বিষয়ক সভা সোমবার দুপুরে খুলনা নগরীর হোটেল সিটি ইন-এ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সম্মানিত অতিথি ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের পঞ্চম মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হিসেবে ২০২১ সালে মহান জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় বিল পাশ হয়। বিশ^বিদ্যালয়টি পুরোদমে চালু হলে এখানে চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা লাভ ও উচ্চতর গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হবে। একই সাথে খুলনা অঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষের জন্য মানসম্মত চিকিৎসা সেবাপ্রাপ্তি সহজতর হবে। খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার প্রাস্তাবিত ৫০ একর জমির উপর ৯৬০ শয্যার হাসপাতালসহ বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হলে এই অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার মানে আমূল পরিবর্তন আসবে। সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ^বিদ্যালয়টি চার হাজার ৬শ ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। প্রতিবেদনে প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত ধরা হয়েছে। সমীক্ষা প্রতিবেদনটি অনুমোদিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ আনুষাঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে নয়টি মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি নার্সিং কলেজকে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় অধিভুক্ত করা হয়েছে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি’র মহাপরিচালক বদরুল আরেফনী ও খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হানুরুর রশীদ। সমীক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রফেশনাল এসোসিয়েটস লি: এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর কে. এইচ উদ্দিন। খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মেহেদী নেওয়াজ।

জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি এবং প্রফেশনাল এসোসিয়েটস লি: এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত তুলে ধরেন।