বাইসাইকেল চালিয়ে হজ পালনে যাচ্ছেন থাই নাগরিক

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:৫৫:৪২ এম

মাগুরা প্রতিনিধি: নাম আব্দুস সালাম থাই নাগরিক। বয়স ৬৪।  পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক।

বাইসাইকেলে করে থাইল্যান্ড থেকে যাচ্ছেন  হজ করতে। পায়ে চালানো বাইসাইকেল নিয়ে তিনি থাইল্যান্ডের শহর চেঙ্গাই নিজ বাড়ি থেকে বের হয়েছেন জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে। এরপর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১৬ তারিখে বিমান যোগে পৌঁছান ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। থাইল্যান্ডের পাশের দেশে মায়ানমারে প্রবেশ করতে পারেননি বলে সরাসরি বিমান যোগে ঢাকায় পৌঁছান গত শুক্রবার।

মাগুরা থেকে তিনি যাচ্ছেন যশোরের বেনাপোল। এরপর ভারতের সীমান্ত পার হয়ে যাবেন কোলকাতায়। সেখানে থেকে যাবেন দিল্লী এরপর পাকিস্তানের লাহোরে। সেখান থেকে বাহরাইন হয়ে ইরান হয়ে সৌদি আরবে বাইসাইকেল চালিয়ে পৌঁছাতে চান।

তিনি বলেন বাইসাইকেল চালানো খুব কঠিন এতোটা পথ। কিন্তু আমি এটা ছোটবেলা থেকে পছন্দ করি। এজন্য আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমি বাইসাইকেলে করে সৌদি আরবে হজ করতে যাচ্ছি। এতোটা পথ তিনি ৬ মাসে যেতে পারবেন বলে জানা। এরপর হজ করার পর তিনি বাড়ি ফিরবেন ও বাইসাইকেলে। প্রায়  বছর  ধরে তিনি এই বাইসাইকেল করে হজ করে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে সকলের কাছে দোয়া চান। পথ চেনার জন্য গুগল ম্যাপের সহায়তা তার পথকে করেছে আরো সহজ বলে জানান এই প্রবীণ।

থাইল্যান্ডের এই নাগরিক মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী জামে মসজিদে আসেন শনিবার রাতে।  স্থানীয় মুসল্লিরা তার সাথে পরিচিত হলে রাতে স্থানীয় একজন তাকে আশ্রয় দেয়।

আব্দুস সালাম জানান, তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন  ৩০ বছর পূর্বে। তখন তার নাম ছিল বনোম পুনিয়া। ফেসবুকে তার এই নামে এখন চলমান থাকলেও তিনি মুসলমান হয়ে নাম রাখেন ঈশা আব্দুস সালাম। যা আব্দুস সালাম নামে তিনি তার এলাকায় পরিচিত বলে জানান।

আব্দুস সালাম মাগুরা পারনান্দুয়ালি থেকে শনিবার সকালে  বিদায় নিলে সবাই তার জন্য দোয়া করেন। তারা চান এই মুসলিম যেন তার হজ করার ইচ্ছা পূরন করতে পারেন।

হজ করার উদ্দ্যেশ আব্দুস সালাম মাগুরা থেকে রওয়ানা হয়ে যশোর বেনাপোল যাবেন বলে জানান। এছাড়া কেন বাইসসেইকেলে করে যাবেন হজ করতে সে জবাবে তিনি জানান,বাইসাইকেল চালানো তার শখ। তার টাকার সমস্যা নেই। কিন্তু তার বহুদিনের শখ ঘুরতে ঘুরতে হজে যাবেন। নিঃসন্তান আব্দুম সালাম  আরো জানান,তার স্ত্রী ও সে ছাড়া আর কেউ নেই। স্ত্রীর সাথে নানা সময়ে কথা হচ্ছে। আশা করছেন হজ করে খুব শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন।