রঙিন ফুলকপি চাষে আলোচিত মাগুরার সুসেন বালা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৫৯:২১ এম

শাহীন আলম তুহিন ,মাগুরা : সোনালী, বেগুনি,বিস্কুট,খয়েরি আর মেজেন্টি রঙের ফুল কপি চাষ করে আলোচিত হয়েছেন মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার হাজরাতলা গ্রামের চাষী সুসেন বালা। এ ৫টি রঙের ফুলকপি দেখতে এখন মাগুরার বিভিন্ন এলাকা থেকে তার ক্ষেতে  সকাল বিকাল ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। শীতের সময় বাজারে সাদা রঙের ফুলকপিই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। হাটে-বাজারে শীতকালীন কপি খুবই জনপ্রিয় মানুষের কাছে। পাশপাশি পাতাকপিরও  কদর রয়েছে মানুষের কাছে। কিন্তু সোনালী, বেগুনি, বিস্কুট,খয়েরি আর ম্যাজেন্টা রঙের ফুল কপি দেখেনি মাগুরাবাসী। এই প্রথমবারের মতো রঙিন এ ফুলকপি চাষ করে রীতিমতো  সাড়া ফেলেছেন তিনি।

শ্রীপুর উপজেলার হাজরা তলা গ্রামের এ চাষি সুসেন বালা জানান, আমি বিভিন্ন রকম চাষের সাথে ড়ড়িত। প্রতি বছরই আমি শীতকালীন সবজি চাষ করি। এবার চাষ করেছি রঙিন ফুলকপি । প্রথমবার এ চাষে অনেকটা  ভয় কাজ কাজ করছিল কারণ আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাব,ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারণে এ চাষে বাধাগ্রস্ত হয়েছে । তবুও আশা ছাড়েনি নিয়মিত ক্ষেত পরিচর্যা করার ফলে পেয়েছি এ চাষে সাফল্য। কৃষি বিভাগ থেকে আমি বীজ সংগ্রহ করে প্রথমবারের মতো আমি এ চাষ শুরু করি । মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করি এ রঙিন ফুলকপি। গত আশ্বিন মাসে রোপণ করি চারা । তারপর নিয়মিত জমিতে জৈব সার ও কেচোঁ সার প্রয়োগ করি । চারা একটু বড় হলে ক্ষেতে পরিচর্যা আরো বাড়ায় । ৯০-১০০ দিনের মধ্যে পরিপূর্ণ হয় প্রতিটি রঙিন কপি । এবার সোনালী, সোনালী, বেগুনি, খয়েরি রঙের ফুলকপির চাষ বেশি করেছি । আমার এ রঙিন কফি এখন বাজারে  এসেছে । প্রতিটি রঙিন কপির পাইকেরি মূল্য ৪০-৪৫ টাকা। এ চাষে আমার ২০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হয়েছে। আশাকরি চলতি বছর ৫০-৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে আমার রঙিন কপি। চাষের সার্বিক সহযোগিতার জন্য শ্রীপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেয়েছি । আমার চাষ  দেখে এলাকার অনেক কৃষক এখন এ চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ।

হাজরাপুর এলাকার চাষি উজ্জল, আব্দুল রাজ্জাক জানান সুসেন দা আমাদের গ্রামের একজন পরিশ্রমি কৃষক। সে নানা চাষের সাথে জড়িত । পাশাপাশি সে সবজি চাষেও অনেক অগ্রসর। এবার রঙিন ফুলকপি চাষ করে আমাদেও এলাকায় আলোচিত হয়েছেন। তার এ রঙিন ফুলকপি দেখতে ইতিমধ্যে মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক আসছেন তার ক্ষেতে। আমরাও এ চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। আগামীতে আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তবে আমরাও এ চাষে আশাবাদী ।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা বলেন, রঙিন ফুলকপি চাষে শ্রীপুর কৃষি বিভাগ থেকে সুসেন বালাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরা তার ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। প্রথমবারের মতো তার এ চাষে এসেছে সাফল্য। আমরা তাকে এ চাষে জৈব সার দিয়েছি । তার দেখাদেখি হাজরাতলার অনেক কৃষক এখন এ চা করতে আগ্রহী ।্ আমরা এখন এ চাষে আগ্রহী কৃষকদের তালিকা করছি। আমাগী বছর এ চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে । তিনি আরো জানান, বাজারে সাদা ফুলকপি পাইকেরি ২০-২৫ টাকা কিন্তু রঙিন ফুলকপি পাইকরি ৪০-৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রঙিন ফুলকপির দাম বেশি হওয়ায় এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।