মাগুরায় চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:১৩:২৫ পিএম

মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরায় চোর সন্দেহে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুল ছাত্রকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছেন। শুক্রবার জেলার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতনের শিকার সজিব মোল্লা ১২ কে উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সজীব ছান্দড়া গ্রামের কোহিনুর মোল্লার ছেলে। সে চান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হাসানকে আটক করেছে শালিখা থানা পুলিশ।

সজিবের বাবা কোহিনুর মোল্লা জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে সজীব ছান্দড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে যায়। এ সময় এলাকার মুদি দোকানদার হাসান তাকে আটক করে দোকানের মধ্যে নিয়ে চোর সন্দেহে নির্যাতন করে। তারা তাকে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে পায়ে পেরেক পুঁতে ও হাতুড়ি দিয়ে মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতন করে। এ সময় শালিখা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত সজিবের চাচা জয়নুর জানান, কয়েকদিন আগে ছান্দড়া চৌরাস্তার পাশে হাসানের মুদি দোকানে চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে আমার ভাতিজা সজিবকে তারা আটক করে নির্যাতন চালায়। তার পায়ের একাধিক স্থানে লোহার পেরেক ঢুকানো হয়। পাশাপাশি হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পাশাপাশি তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে ভিডিও ধারণ করে চোরের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে।

শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান স্নিগ্ধা জানান সজিবের অবস্থা গুরুতর, তার পায়ে ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শালিখা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বিশারুল ইসলাম জানান, চুরি সন্দেহে সজিব নামের ওই ছেলেটিকে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শালিখা থানা ছেলেটিকে উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তির করার ব্যবস্থা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকান মালিক হাসানকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।