যশোর চেম্বারের নির্বাচন শনিবার

দুই প্যানেলে লড়ছেন ৩৬ প্রার্থী, প্রচার প্রচারণা উৎসব ছড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৫:২২:১৪ এম

 

মিরাজুল কবীর টিটো: আগামী ৭ জানুয়ারি শনিবার  অনুষ্ঠিত হবে যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীরা জোরেসোরে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের প্রচার প্রচারণা উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে শহর ও শহরের বাইরের ব্যবসায়ীদের মাঝে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে চাঞ্চল্যতা বিরাজ করছে।

এ নির্বাচনে দুই প্যানেলে ২১ টি পদে সাধারণ সদস্য ও সহযোগী সদস্য পদে মোট ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের কবু-মিজান-মিঠু প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন, সাধারণ সদস্য পদে  এএসএম হুমায়ুন কবীর কবু, মিজানুর রহমান, আলহাজ আসাদুজ্জামান মিঠু, উজির হোসেন, মাহাবুব আলম লাবলু, মহাসিন আলী, রবিউল ইসলাম রবি, রাজু আক্তার, জাকির হোসেন পলাশ, আহসান কবির নিপু, কামাল হোসেন পলাশ, আহসান হাবীব চৌধুরী। সহযোগী সদস্য পদে সাহিদুর রহমান টিটো, জিল্লুর রহমান, মশিয়ার রহমান, শাহীন রেজা, হাফিজুর রহমান ও শেখ সাইদুর রহমান। ব্যবসায়ীদের সূত্র জানিয়েছে, সবদিক থেকে ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদ এগিয়ে রয়েছে।

ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের মিজান-বাবু-সুজা- ঈদুল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন মিজানুর রহমান খান, শেখ আতিকুর রহমান বাবু, সাজ্জাদুর রহমান সুজা, আব্দুল হামিদ চাকলাদার, এহসানুর রহমান লিটু, কাসেদুজ্জামান সেলিম, সাকির আলী, শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু, সায়েম সিদ্দিকী, মকছেদ আলী, এজাজ উদ্দিন টিপু, খায়রুল কবির।  সহযোগী সদস্যরা হলেন, শাহাজাহান আলী খোকন, সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, তৌহিদুর রহমান, আজিজুর রহমান খান, ইদ্রিস আলী ও রিজভী জাহাঙ্গীর কিবরিয়া ।

চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সূত্র জানিয়েছে ১৯৯৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চেম্বারের দায়িত্বে ছিলেন বতর্মান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। ২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন জেলা বিএনপির ওই সময়কার যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আইনী জটিলতার কারনে নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ৮ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যেন ব্যবসায়ী মহলে বইছে উৎসবের হাওয়া।

নির্বাচনের শেষ বেলায় দুটি প্যানেলের প্রচারণা জমে উঠেছে। কবু-মিজান-মিঠু প্যানেলের সাধারণ সদস্য হুমায়ুন কবীর কবু বলেন, এ নির্বাচনে বিজয়ী হলে ব্যবসায়ীদের আপদে বিপদে পাশে থাকবো। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করে ন্যায় সঙ্গত দাবি প্রতিষ্ঠা করবো। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সঠিক সময়ে যাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই ব্যবস্থা করবো।

ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের মিজান-বাবু-সুজা-ঈদুল প্যানেলের সাধারণ সদস্য সাকির আলী বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবো। ব্যবসায়ী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল কাজে সহযোগিতা করবো।