নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর : তিন দিনের ব্যবধানে আবারও ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে মণিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়নের সরসকাটিতে। এবার সরসকাটি গ্রামের মোতালেব হোসেনের বাড়িতে রোববার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোতালেব হোসেনের বাড়ি থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। এ ঘটনার পর এলাকার মানুষের মাঝে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরসকাটি গ্রামের মোতালেব হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম জানায়, আমার স্বামী মোতালেব ঢাকায় চাকরি করেন। ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে নয়নকে নিয়ে বাড়িতে থাকি। রোববার রাত ১টার দিকে গ্রিলের তালা ভেঙে কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা ৬-৭ জন ঘরে প্রবেশ করে। তারা ছেলের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় আমাকে বেঁধে মারপিট করে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যায়।
সরসকাটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন জানায়, গত শুক্রবার রাতে কোদলাপাড়া গ্রামে ডাকাতি হওয়ার পর রাতে পুলিশের টহল ছিল। রোববার রাতে পুলিশের সাথে আমরা গ্রামবাসীরা রাস্তায় পাহারায় ছিলাম। এরই মধ্যে রাত ১টার দিকে মাঠ দিয়ে ৬-৭ জনের মুখোশধারী ডাকাত দল গ্রামের মোতালেব হোসেনের বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ডাকাতি করেছে। ওই সময় পুলিশ এলাকায় টহলে ছিল। ডাকাতির খবর পাওয়া মাত্র থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে এ নিয়ে গত এক মাসে রোহিতা ইউনিয়নে তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে, শুক্রবার রাতে একই ইউনিয়নের কোদলাপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। তাছাড়া, ভান্ডারি মোড় সংলগ্ন আবুল কাশেমের বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ইউনিয়নটিতে পর পর তিনটি ডাকাতির ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন বলেন, পুলিশ ডিউটিরত অবস্থায় কিভাবে ডাকাতি হচ্ছে এটা ভাববার বিষয়। ডাকাতি ঠেকাতে প্রশাসন কোনো কাজ করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান সরসকাটি মোতালেব হোসেনের বাড়ির ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা রাতেই ওই বাড়িতে পরিদর্শনে যাই। তদন্ত করে যা মনে হয়েছে সেটি ডাকাতির ঘটনা নয়।