ফ্রি চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারে রেকর্ড চিকিৎসক নিকুঞ্জ বিহারীর

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ , ২০২৪, ০৩:০০:২৬ পিএম

বিল্লাল হোসেন: আদর্শ ও মানবিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন যশোর মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার। মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে নারী-প্রসূতিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করে তিনি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন। বিশেষ করে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার মানুষের কাছে বর্তমানে তিনি আস্থার প্রতিক হয়েছেন। চিকিৎসাসেবার সাথে অনেক দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার। এছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতে রক্তপাত ছাড়াই সেন্ট্রাল প্লাসেন্টা প্রিভিয়া অস্ত্রোপচার করে সফলতার রেকর্ড রয়েছে তার।

জানা গেছে, ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার ২০১৬ সালে চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে মানবসেবায় নেমে পড়েন। এই কয়েক বছরে তিনি যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া, বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে শতাধিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের ৪ হাজারের বেশি নারী ও প্রসূতিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করেছেন। এজন্য তিনি  দরিদ্র মানুষের কাছে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য অর্জন ছাড়াও রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন করে সততার পরিচয় দিচ্ছেন।

বিনামূল্যে সেবা গ্রহণকারী কয়েকজন জানান, ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদারের কাছ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে তাদের মতো অনেকে খুশি হয়েছেন। তিনি একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার জানান, গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মানুষ অর্থের অভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আসতে পারেন না। জটিল সমস্যা হলেও নিরবে যন্ত্রনা সহ্য করেন। তার লক্ষ্য দরিদ্র পরিবারের নারী ও প্রসূতিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। এজন্য তিনি গ্রামে গ্রামে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে  দরিদ্র মানুষের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করে চলেছেন। সেই সাথে ওষুধ দিচ্ছেন। কোন রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলেও করা হচ্ছে। বিনিময়ে বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার আপামর মানুষের ভালোবাসা   পেয়েছেন। ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার আরও জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন দেশ উপহার পেয়েছি। তার মহীয়সী সহধর্মিণীকে আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। সেই বঙ্গমাতার অনুপ্রেরণায় ২০১৬ সাল থেকে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব  স্মরণে অসহায় মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। বাকিটা জীবন এভাবে মানুষের সেবা করে যেতে যাবেন। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।