ভাঙনে ২শ’ মিটার বেড়িবাঁধসহ ১৫ বসতবাড়ি নদীগর্ভে

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৩১:৪৫ পিএম

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ: দাকোপের পানখালীতে পশুর নদী তীরের ভাঙনে ২শ’ মিটার বেড়িবাঁধসহ ১৫টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি ঢুকে খলিশা ও পানখালী গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে আমন ফসল। ভেসে গেছে অর্ধশত পুকুরের মাছ।

জানা গেছে, পাউবোর ৩১ নম্বর পোল্ডার তথা দাকোপ উপজেলা সদর পানখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে মোড়ল বাড়ি এলাকার বেড়িবাঁধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ফাঁটল দেখা দেয়। এরপর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার ভোর রাতে ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাঁধের ২শ’ মিটার পশুর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে বাঁধ এলাকার ১৫টি বসত ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, তাপস রায়, পরিমল রায়, অনুরূদ্ধ রায়, মহাদেব কুমার রায় ওরফে ছোট মহাদেব, কিংকর রায়, শংকর রায়, মহাদেব রায়, অমল কৃষ্ণ রায়, মলয় রায়, প্রণয় কুমার রায়, জ্যোতিশংকর রায় ও প্রভাত রায়। ক্ষতিগ্রস্তদের অবশিষ্ট মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জোয়ারের পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ফলে বড় খলিশা ও পানখালী গ্রামের প্রায় শতাধিক বসতঘর বাড়ি তলিয়ে গিয়ে সহ¯্রাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। কৃষকের  প্রায় এক হাজার বিঘা পাকা আমন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

বুধবার দুপুরে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ এমপি পঞ্চানন বিশ^াস । তিনি তাৎক্ষণিক পাউবো কর্মকর্তাদের ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্ াগ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে সহয়তা দেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ^াস, পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের, ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুুুল কাদের, ইউপি সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য জ্যোতিশংকর রায়, পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী  তাহমিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.শফিউদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুজয় কর্মকার উপস্থিত ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে ভাঙন দীর্ঘস্থায়ী হলে পুরো ৩১ নম্বর পোল্ডার তথা পানখালী, চালনা পৌরসভা এবং তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের আংশিক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।