লাঞ্চটাইমে জনপ্রিয় ‘টিফিনওয়ালা’

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:৪৩:২৭ পিএম

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা: ‘লাঞ্চটাইমে’ বাড়ির রান্না করা খাবার পৌঁছে যায় অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। সময়ের একটুও হেরফের হয় না। গরম গরম খাবার সময়মত হাতে পৌঁছে যায়। ফলে কর্মস্থলে বসেই বাড়ির রান্না করা খাবার খেতে পারেন কর্মজীবীরা। খুলনার পাইকগাছায় টিফিন ক্যারিয়ারে করে দুপুরের খাবার অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাটা তাই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

উপজেলার বোয়ালিয়ার অধিকাংশ মানুষ ব্যবসা করেন পাইকগাছা বাজার ও নতুন বাজারে। তাদের অনেকেই দুপুরের খাবার বাড়ি থেকে আনিয়ে নেন দুলাল সাধু ও শুধাশু সাধুর মাধ্যমে। তারা দু’জন বাড়ি বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার সংগ্রহ করে বেলা ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে কর্মস্থলে পৌঁছে দেন। আর তার জন্য টিফিনবক্স বা ক্যারিয়ার প্রতি দশ টাকা করে পান।

ব্যবসায়ী  ও কর্মজীবীরা জানান, প্রতিদিনই  দুপুরের খাবার খেতে হয় কর্মস্থলে। বাসা থেকে খাবার বয়ে আনা বেশ ঝক্কি-ঝামেলার। সকালে রান্না করা খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়। আবার বাড়ির খাবার না আনা হলে অস্বাস্থ্যকর রকমারি ভাজাপোড়া খেয়ে শরীর খারাপ হয়ে যায়।  ভালো কোনো হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খেতে চাইলে অনেক টাকা খরচ হয়। ফলে সেটিও একটি সমস্যা। যার কারণে তাদের অনেকেই দুলাল সাধু ও শুধাশু সাধুর মাধ্যমে বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার আনিয়ে নেন। 

জানা যায়, দুপুরের আগেই ‘টিফিনওয়ালা’ বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাঞ্চবক্সে (ডাব্বা) ভরে দেয়া গরম গরম খাবার নিয়ে সাইকেলে চেপে ছুট লাগান। কর্মস্থলে সবার হাতে হাতে পৌঁছে দেন। আবার খালি লাঞ্চবক্স বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে আসেন। স্বল্প খরচে ‘টিফিনওয়ালার’ মাধ্যমে কর্মস্থলে বসে বাড়ির তৈরি গরম খাবার খাওয়া যাচ্ছে বলে অনেকেই এই সুযোগটা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে দুলাল সাধু বলেন, প্রতিদিন ৩০টার মত টিফিনবক্স কর্মস্থলে পৌঁছে দেই। প্রায় ২০ বছর ধরে এই কাজ করছি। সময়মত সবার খাবার পৌঁছে দেই। বয়স বেড়েছে, তাই অন্য কাজ করার ক্ষমতা কমে গেছে। যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাতে হয়। তবে সময় মত তাদের দুপুরের খাবার পৌঁছে সময়মত সবার হাতে পৌঁছে দিতে পারলে ভালো লাগে। তারা বাড়ির তৈরি গরম খাবার খেয়ে তৃপ্তি পায়।