ভদ্রা নদীর ভাঙনে আতঙ্কে আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:৪৩:৪১ পিএম

শেখ আব্দুস সালাম, চুকনগর : ডুমুরিয়ায় ভদ্রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে কারণে আবসনের বাসিন্দারা বসবাস করছেন চরম ঝুঁকিপূর্ণভাবে। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলা বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রা নদীর তীরে আবসন প্রকল্প এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে চরভরাটি সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা আবাসন প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন চরম ঝুঁকিপূর্ণভাবে। ভাঙন কবলিত এলাকা আশু সংঙ্কার করা না হলে নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে আবাসন প্রকল্পের ঘরবাড়ি গুলো। এ নিয়ে নানা শংকার মধ্যে দিন কাঁটছে দরিদ্র প্রকল্প পল্লীর মানুষের।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন ও ঘরহীন পরিবারের জন্য দেশব্যাপী সরকারি জায়গায় সমাজের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আধাপাকা ঘর ও জমির ব্যবস্থা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় এ প্রকল্পের তৈরি করে তা দরিদ্র পরিবারের মাঝে কবলা দলিল মূলে হস্তান্তর করা হয়। ফলে সমাজের বঞ্চিত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আশ্রয়ের ব্যবস্থা হয়। সরকার প্রদত্ত ঘর ও জমি পেয়ে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটছিলো তাদের। কিন্তু সম্প্রতি ভাঙনের কবলে পড়ে চরম বিপাকে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙনের কারণে আবাসন এলকার অধিকাংশ স্থান নদী গর্ভে চলে গেছে।

আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা নারগিস বেগম, আঞ্জুয়ারা বেগম, হাফিজুর রহমান, পারুল বেগম, বিলকিস বেগম, রোকেয়া বেগম, আমিনুর রহমান, মর্জিনা বেগম, জোসনা বেগম, হালিম গাজীসহ ভুক্তভোগীরা নদীভাঙন রোধ এবং স্থায়ী সংস্কারের জন্য সরকারের ঊধর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ শরিফ রহমান বলেন, একটি বরাদ্দ দিয়ে সংঙ্কারের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু যথেষ্ট নয়। ইতোমধ্যে আবাসন প্রকল্পের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বড় ধরণের বরাদ্দ পেলে প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন কবলিত এলাকা পুনঃসস্কার সম্ভব হবে।