বেড়িবাঁধ ভাঙনে আতঙ্ক

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ , ২০২৪, ০২:৪৫:৩৩ পিএম

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি: উপকূলীয় জনপদ কয়রায় বেড়িবাঁধের আকস্মিক ভাঙনে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা শাকবাড়িয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রামের হারুন গাজীর বাড়ির দিকে এই ভাঙন ধরেছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।  ফলে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষায় কাজ করছেন। তবে পরিকল্পনা মাফিক মেরামত কাজ না হলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম খান জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নদীতে ভাটার সময় ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে নিজেদের ঘরবাড়ি, মাছের ঘের ও ধান রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিং বাঁধের কাজ শুরু করেছেন। এভাবে পানি প্রবেশ বন্ধ করা গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মাধ্যমে বড় ধরনের বরাদ্দ দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করা না হলে গোটা এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক জি এম মশিউর রহমান মিলন বলেন, ভোর রাতে শাকবাড়িয়া নদীতে ভাটার টানে বেড়িবাঁধের ভাঙনে প্রায় ২০০ মিটারের মত রাস্তা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।  দ্রুত বাঁধ মেরামত না করলে জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমি  ও মাছের ঘের তলিয়ে যাবে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, রাতের জোয়ারে বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছিলো। ভোর বেলা ভাটির টানে ২০০ মিটারের মত নদীতে বিলীন হয়েছে। জোয়ারের পানি আটকানোর জন্য সকাল থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রিং বাঁধের কাজ করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত বাঁধ ভাঙে। আর এলাকাবাসী জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখে। কিন্তু  স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয় না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বাঁধ রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।