কপিলমুনিতে বাগদার দাম কমে যাওয়ায় শঙ্কিত চিংড়ি চাষিরা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০৭:০৫:২১ এম

জি এম আসলাম হোসেন, কপিলমুনি(খুলনা): চিংড়ির দরপতনে হতাশ হয়ে পড়েছেন কপিলমুনি অঞ্চলের চিংড়ি চাষিরা। তাদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ, কীভাবে এ চাষে টিকে থাকবেন তারা ভেবে পারছেন না। ফলে এলাকায় চিংড়ি চাষ নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা।

জানা যায়, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি অঞ্চলে ৮০’র দশক থেকে চিংড়ি চাষ শুরু হয়। এ এলাকায় মোট চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার, যার আয়তন ৮ হাজার হেক্টর। দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করে সরকার প্রতিবছর মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় করে থাকে। যা থেকে এ অঞ্চলের অর্থনীতির ভিত মজবুত হয়। চিংড়ি খাত থেকে ভালো আয় হলে এ জনপদের সকল ব্যবসা ও জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পায়, খুব জোরেসোরে সচল হয় অর্থনীতির চাকা। এ বছরের শুরু থেকে অনাবৃষ্টি ও লবণাক্তার ফলে চিংড়ি উপাদন অনেকটা ব্যাহত হয়েছে। তারপরও কোন রকমে চাষিরা খুড়িয়ে খুড়িয়ে চললেও হঠাৎ বিক্রির দর পতনে একবারেই আশাহত হয়েছেন তারা। চাষিরা এ চাষে বিনোয়োগ করে বছর জুড়ে লাভের স্বপ্ন দেখলেও সে স্বপ্নটা যেন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ঘেরে হারি ও ব্যাংক থেকে ঋন নিয়ে চিংড়ি চাষ করে বছর শেষে লোকসানের পাল্লাটায় ভারী হবে বলে মনে করছেন তারা। পোনা সংকট, পোনার দাম বেশি, ভাইরাসজনিত মড়ক, জমির অধিক হারি ও ঘের কর্মচারীর খরচ সামলে যখন কৃষকের উঠেছে নাভিশ্বাস, ঠিক তখনই অনেক কমে গেছে বাগদার চিংড়ির দাম। ৯‘শ টাকার চিংড়ি এখন ৬‘শ টাকা, আর ৬‘শ টাকার চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪‘শ টাকায়। এমন অবস্থাতে ভালো নেই বৃহত্তর এ জনপদের সাদা সোনা খ্যাত ‘চিংড়ি’ চাষিরা।

মৎস্য চাষি হরিদাশকাটী গ্রামের পলাশ মজুমদার বলেন, ‘তেঁতুলতলা মৌজায় আমার ৪ ‘শ বিঘা ঘের। বাগদা চিংড়ির দাম কমে যাওয়ায় মারাত্মকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। এরপরেও যদি আমরা কাঙ্খিত দাম না পাই তাহলে বছর শেষে হারির টাকা, আর ব্যাংক ঋণ শোধ করতে পারবো না।’

কপিলমুনির চিংড়ি ডিপো ব্যবসায়ী আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রচুর পরিমানে চিংড়ি রফতানি হয়ে থাকে, কিন্তু যুদ্ধ চলামান থাকায় ওই দেশগুলোতে চিংড়ি রফতানি হচ্ছে কম যার ফলে দাম কমে গেছে। ফলে আমাদের ব্যবসা এখন মন্দা।