পরমানন্দকাটি পূজামণ্ডপে এবার ১৪১ প্রতিমা স্থাপন, স্বর্ণময়ী রূপে মহামায়া

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৩:০২:৩৭ এম

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শ্রীশ্রী শারদীয় দুর্গাদেবীর শুক্লা পঞ্চমী বিহিত পূজা। আর ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজার মূল উৎসব। ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ইতি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের। ইতোমধ্যে উপজেলার ৫২ টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পরমানন্দকাটি পূজামন্ডপ। দেবী দুর্গাসহ মোট ১৪১ টি প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে ওই মণ্ডপে। দুর্গোৎসব উপলক্ষে সেখানে নির্মিত হয়েছে বিশাল আকৃতির সুদৃশ্য গেইট ও মনোরম প্যান্ডেল।

মৌতলা-পরমানন্দকাটি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র ভাইয়া জানান, পরমানন্দকাটি পূজা কমিটি এ বছর বৈচিত্রময় ১৪১ টি প্রতিমার সমন্বয়ে অতি মনোরম পরিবেশে মন্দির সুসজ্জিত করেছে।

দেবীর গজে আগমণ, রাম লক্ষণ ও হনুমান, কপিলাগভী হতে দুগ্ধ দোহনের বাস্তব দৃশ্য, বাস্তবে রাধা কৃষ্ণের দোলায় দোল, মূল মন্দিরে মহামায়ার স্বর্ণময়ী রূপ, শ্রীকৃষ্ণের নৌকা বিলাস, দেবীর নৌকায় গমণসহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিমা প্রদর্শন করা যাবে। এছাড়া বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে শিবের জটা হতে গঙ্গা সৃষ্টির বাস্তব দৃশ্য। মহানবমীতে দুপুর ১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত অন্নভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বস্তরের ভক্তবৃন্দ যাতে সুন্দর পরিবেশে প্রতিমা দর্শন করতে পারে সেজন্য পূজা উদযাপন কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।

প্রসঙ্গত, এ বছর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে মোট ৫২ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বিগত বছরের ন্যায় এবারও সর্বাধিক ৯ টি মন্ডপে পূজা হচ্ছে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে। এছাড়া কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে ২ টি, চাম্পাফুল ইউনিয়নে ৬ টি, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে ৪ টি, কুশলিয়া ইউনিয়নে ৭ টি, নলতা ইউনিয়নে ২ টি, তারালী ইউনিয়নে ৪ টি, ভাড়াশিমলা ইউনিয়নে ৩ টি, মথুরেশপুর ইউনিয়নে ৫ টি, ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে ৪ টি, রতনপুর ইউনিয়নে ৩ টি এবং মৌতলা ইউনিয়নে ৩ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ১ টি ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নে ১ টি মন্ডপে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

জাতীয় হিন্দু মহাজোট কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সঞ্জয় কুমার ঘোষ জানান, দুর্গাপূজা পাঁচ দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। মা দুর্গার অর্চনার পাশাপাশি একই মঞ্চে দেবী মা লক্ষী, মা সরস্বতী এবং দেবতা শ্রী গণেশ ও শ্রী কার্তিকেরও পূজা করা হয়। এ সময়টাতে ঢাকের বাদ্য আর শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা হয় সনাতন ধর্মাবলম্বী সকল বয়সের মানুষ। তিনি আরও জানান, দেবী দূর্গা এবার ‘গজ’-এ অর্থাৎ হাতিতে চড়ে মর্তালোকে আগমণ করবেন এবং ‘নৌকা’য় স্বর্গলোকে ফিরে যাবেন। শাস্ত্রমতে দেবীর গজ-এ আগমণের ফল শস্যপূণ্যা বসুন্ধরা এবং নৌকায় গমণের ফল শস্যবৃদ্ধি ও জলবৃদ্ধি হবে।