চৌগাছার পশু চিকিৎসক হত্যার এজাহার নেয়ার আদেশ ওসিকে

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৩:১০:২৪ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক: চৌগাছার পলুয়া গ্রামের পশু চিকিৎসক টিটোকে হত্যার অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার চৌগাছা থানা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ এ আদেশ দিয়েছেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর নিহতের চাচা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছিলেন। আসামি করা হয়েছে নিহতের স্ত্রী চিনতিয়া খাতুন, শ্যালক শাওন, শাশুড়ি শিল্পী ও প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ছেলে রুবেল।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ঝিকরগাছার উত্তর গঙ্গাধরপুর গ্রামের কাছেম ডাক্তারের ছেলে টিটো চৌগাছার পলুয়া গ্রামের বাড়ি করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। টিটো পেশায় পশু চিকিৎসক হওয়ায় দিন রাতের অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ সুযোগে তার স্ত্রী চিনতিয়া খাতুন প্রতিবেশী রুবেলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। গত ৩১ আগস্ট টিটো সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে রুবেলের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এ সময় রুবেল তাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি চিনতিয়ার পরিবারকে জানানো হয়। তারা এ বিষয়ে কোন সুবিচার না করে উল্টো টিটোকে হুমকি দিয়েছিল। চিনতিয়া ও রুবেল তাদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে টিটোকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে আসামি রুবেল ও চিনতিয়া অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ঘরে ঢুকে টিটোকে আটকে ফেলে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে টিটো নিজেকে রক্ষা করতে স্ত্রীর হাতে কামড় দিয়েছিল। চিনতিয়ার হাতে কামড়ের দাগ বিদ্যমান আছে। একপর্যায়ে তারা টিটোকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়। টিটোর গ্রামের বাড়ির লোকজন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে টিটোর মরদেহ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ এসে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গ্রামের বাড়ি ঝিকরগাছায় নিয়ে দাফন সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনার বিস্তারিত জেনে নিহতের চাচা গত ১২ সেপ্টেম্বর চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালতে আদেশে চৌগাছা থানা ঘটনার ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। গতকাল এ প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গহণ করার আদেশ দিয়েছেন চৌগাছা থানার ওসিকে।