আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রী খুন

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৯:১০:৫৪ পিএম

আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বাড়িতে এক দম্পতির লাশ পাওয়া গেছে; যাদের দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা সদরের পুরাতন বাজারপাড়া এলাকায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-ওই এলাকার নজির উদ্দিন (৬৭) ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬০)।

ওসি বলেন, এ দম্পতির একমাত্র মেয়ে শিলার বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি আলমডাঙ্গা শহরের অন্য একটি এলাকায় স্বামীর সঙ্গে থাকেন। রাতে স্বামী স্ত্রী ছাড়া ওই বাড়িতে অন্য কেউ ছিলো না। সকালে শিলা তার বাবা ও মায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করলেও কোনো উত্তর মেলেনি।

পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে শোয়ার ঘরে ফরিদা এবং বাথরুমে নজিরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে বলে জানান তিনি।

তবে, অনেকের ধারণা ডাকাতি করতে এসে চিনে ফেলায় তারা খুন হয়েছে। আবার অনেকেই বলছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। নজির মিয়া যে বাড়িতে খুন হয়েছেন তা একটি সরকারি বাড়ি। যেটি এক সময় সরকারি সাব রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মুলত নজির মিয়া একজন ব্যবসায়ী। তিনি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার ধুলিয়া গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে। প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি সামান্য পূজি নিয়ে চলে আসেন আলমডাঙ্গা বাজারে। শুরু করেন গুড় ও গুড়ের টিনের ব্যবসা। এক সময় সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নজির মিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন। ৮০’র দশকে তার একমাত্র সন্তান মেয়ে শিলার নামে শিলা সিনেমা হল নির্মাণ করেন। তখন ছিলো সিনেমা হলের জমজমাট ব্যবসা। সে সময় বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হেলাল মিয়ার ছেলে লেন্টুর সাথে শিলার বিয়ে হয়। মেয়ে শ^শুর বাড়িতে চলে যাওয়ার পর তারা স্বামী-স্ত্রী একই বাসায় থাকতেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারের কাছ থেকে বেশকিছু জমি ও বাড়ি অধিগ্রহণ করেন। তারই একটিতে রাতে নজির মিয়া ও তার স্ত্রী খুন হন। প্রতিদিনের ন্যায় সকালে মেয়ে শিলা ফোন করলে মা-বাবার দুটি ফোনই বন্ধ পায়। সকাল ১০ টার দিকে কি ঘটনা জানতে জামাই লেন্টু এসে দেখেন বাইরে থেকে গেটে তালা মারা। তার সন্দেহ হলে সে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দরজা ভেঙে দেখতে পায় নজির মিয়া বাথরুমে এবং নজির মিয়ার স্ত্রী ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় আলামত সংগ্রহের জন্য বিশেষজ্ঞ টিম আসার অপেক্ষায় আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিলো। রাতেই ময়না তদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা পাঠানো হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।