‘বিগ বস’ আর ‘রাজা বাবু’ মাতাবে শালিখার কোরবানির হাট

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:১৪:৪৫ পিএম

মাগুরা প্রতিনিধি : কয়েকদিন পরেই ঈদুল আযহা। ঈদকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে মাগুরার পশুর হাট জমে উঠেছে। এবারের ঈদে পশুর হাটগুলো বাহারি রকমের গরু ও ষাঁড় লক্ষ্য করা গেছে। এবারে শালিখা উপজেলার হাট মাতাতে আসছে বিগ বস আর রাজা বাবু। বিগ বস আর রাজা বাবু নামের দুইটি কালো রংয়ের ষাঁড় লালন পালন করেছেন শালিখা উপজেলার বড় আমানিয়ান গ্রামের খামারি মোহন কুমার মন্ডল। তিনি সখ করে ষাঁড় দুইটি নামও দিয়েছেন ‘বিগ বস’ আর রাজা বাবু। সাড়ে ৬ ফুট লম্বা ‘বিগ বসের’ ওজন প্রায় ৩২ মণ। আর রাজা বাবুর  ৫ ফুট লম্বা প্রায় ২৫ মণ ওজনের এই ষাঁড় দুইটির দাম হাকা হচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকা।

শালিখা উপজেলা গ্রামের খামারি মোহন কুমার মন্ডল বলেন, কালো রং এ দুইটি ষাঁড় তিন বছর ধরে লালন করেছিন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে, ‘‘বিগ বস থাকেন বসের মতই রেগে গেল সব ভেঙে চুরে ধ্বংস করেন তিনি। আরর রাজা বাবু একটু চঞ্চল প্রকৃতির। তিনি সুযোগ পেয়েই ছোটা ছুটি করেন। রাাজা বাবু রাজকীয় ভাব নিয়েই থাকেন।

বিগ বসকে নিয়ে এলাকায় বেশ কৌতুহল রয়েছে জানিয়ে এই খামারি বলেন, গরুটির প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আছে- খেসারি,গমের ভূসি,ছোলা,ভুট্টা ও খড়। খুবই যন্ত সহকারে দেশীয় উপায়ে বিগ বসকে বড় করেছি।

তিনি বলেন, ১৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি ষাড় দুইটির। লালন পালন ও ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দাম হাকছেন এ খামারি। অনেক ব্যাপারী আসছেন গরু দুইটি দেখতে। দামও বলছেন অনেক ব্যাপারী। তবে দাম পেলে গরু দুইটির বিক্রির আশা রয়েছে এ খামারির।

মাগুরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: হাদিউজজ্জামান বলেন, শালিখা উপজেলা বড় আমিয়ান গ্রামের মোহন মন্ডল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে দুইটি কালো রং এর ষাঁড় লালন পালন করেছেন। আমাদের প্রাণিসম্পদের অফিসের মাঠ কর্মীরা সব সময়ে এই খামারিকে পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। তিনি তিন বছর ধরে এই লালন পালন করেছেন গরুটি। বাজার মূল্য যদি ভাল পায় তাহলে লাভবান হবেন এ খামারি। মোহন মন্ডলের গরু দুইটি দেখে এলাকায় অনেকে গরু মোটাতাজা করণ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছে। আমরা নিয়মিত তাদের তদারকি করছি। আশা করছি আগামীতে জেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় সরবরাহ করতে পারবো। এই ধারবাহিকতা ধরে থাকলে জেলায় বেকার সমস্যা দুর হবে বলে এই কর্মকতা মনে করেন। এ দিকে চলতি বছরে মাগুরায়  জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২৯ হাজার ৪০৫ সেখানে জেলা উৎপাদন হয়েছে ৩১ হাজার ৯৯৭ পশু। জেলায় মোট খামারি সংখ্যা রয়েছে  ৪ হাজার ৯৪৫টি। চার উপজেলা ১২টি মেডিক্যাল টিম  রয়েছে। কোরবানির পশুর হাটগুলোতে সব সময় তদারকি করছে। অসুস্থ কোরবানির পশু দেখলে সেটির পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।