‘বোনকে উত্ত্যক্ত করায় নরসুন্দর চঞ্চলকে হত্যা করা হয়েছে’

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:১৪:২৭ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেশবপুরে নরসুন্দর চঞ্চল দাস হত্যা মামলায় আটক সুদেব ও সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিষেধ করা সত্তে¡ও সুদেবের বোনকে উত্ত্যক্ত করায় চঞ্চলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন আসামিদের এ জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

শুক্রবার মজিদপুর থেকে ওই দুইজনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও নিহত চঞ্চলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৭ টার পর চঞ্চলের মোবাইলে একটি কল আসে। কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় চঞ্চল। হঠাৎ রাত নয়টার পর প্রতিবেশী বিকাশের বাড়িতে হৈচৈ শুরু হয়। পরে তিনি যেয়ে দেখেন তার ছেলে চঞ্চল রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উঠানে ছটফট করছে। চঞ্চলের গলা ও পেট কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে খুলনায় নেয়ার পথে রাত ১১ টার পর চঞ্চল মারা যায়। এ ব্যপারে নিহত চঞ্চলের বাবা কার্তিক দাস বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আনন্দ দাস ও তার ছেলে সুদেব দাস এবং পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাসকে আটক করেন। শনিবার আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা। এদের মধ্যে সুদেব ও সুমন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক আটক তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।