এবার জমি অধিগ্রহণের পক্ষে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার বিসিক শিল্প নগরী-২ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের পক্ষে মানববন্ধন করেছে রামনগর ইউনিয়নের একাংশের মানুষ। শনিবার বিকেলে যশোর-মণিরামপুর সড়কের রামনগর বিল হরিনার সামনে হাতিপোতার মোড়ে ওই মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে এলাকার লোকজন দাবি করেছে, বিল হরিণার যে স্থানে শিল্পপার্ক নির্মাণের জন্য সরকার যে জমি অধিগ্রহণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তাতে করে আমূল পরিবর্তন হবে এই এলাকায়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হলে এই অঞ্চলের মানুষেরা উপকৃত হবে। বদলে যাতে গ্রামীণ জনপদের কাঠামো। উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, এই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। দারিদ্র বিমোচন হবে। দেশের অর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে।

বক্তারা বলেন, বিল হরিণায় শিল্পাঞ্চল হলে উন্নত রাস্তাঘাট, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ জ্বালানীর সুবিধা, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। পাবে সরকারের আর্থিক ঋণ সুবিধা। অমূল পরিবর্তন হবে পানিতে বছরের বেশির ভাগ সময় ডুবে থাকা রামনগর ইউনিয়নের বিল হরিণা ও তার আশপাশের অঞ্চল। মানুষ উন্নত জীবন পাবে। একই সাথে বিল হরিণার মধ্যের খাল ও খালের সংযোগস্থানের মুক্তেশ্বরী নদ খনন হবে। এতে শহরের জলাবদ্ধতা কমবে। শুরু হবে নতুন করে নৌ চলাচল।

বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেছেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের শুরুতে এই বিল হরিণার জমি সরকার পছন্দ করেছিল। কিন্তু এক শ্রেণির স্বার্থন্বেষী মহল এই অধিগ্রহণের বিরোধীতা করেছিল। ফলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়টি যশোরে-চৌগাছা রুটে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে ওই অঞ্চল এখন অনেক উন্নত হয়েছে। অমূল পরিবর্তন হয়েছে মানুষের জীবনযাত্রার। এই ভুল আর করবে না রামনগর অঞ্চলের মানুষ। এই বিল হরিণায় বিসিক শিল্প নগরী-২ গড়তে হবে।

বক্তারা বলেছে, বিল হরিণায় প্রায় ২শ’ বিঘা সরকারি খাস জমি আছে। এক শ্রেণির স্বার্থন্বেষী মহল ওই জমি সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ইজারা নিয়ে যুগযুগ ভোগ দখল করে আসছে। সরকার জমি অধিগ্রহণ করলে ওই জমি হাতাছাড়া হয়ে যাবে। এই কারণে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে এলাকার লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা কথা বলে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। বলা হচ্ছে তিন ফসলীর মাঠ। আসলে এখানে বছরে একবার ফসল হয়। বাকি সময়টা জলাবদ্ধতা থাকে। ওই জলাবদ্ধ স্থানে পুকুর তৈরি করে ওই স্বার্থন্বেষী মহল মাছ চাষ করে থাকে। বক্তারা এই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করেন। না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা।

প্রায় একঘন্টা ধরে চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল সরুপ, রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসু, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রিফাতুজ্জামান রিফাত, যশোর জেলা সার্ভেয়ার অ্যাসোসিয়শনের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল, মনোয়ার মাস্টার, নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ শাওন, ইমরান হোসেন রাজ, হুসাইন কাবীর, শফিকুল ইসলাশ শফিক প্রমুখ।