পদ্মা সেতু : ঝিকরগাছায় বিশাল আনন্দ মিছিল, পথসভা

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ১১:৫৯:৫৩ এম

এম আলমগীর, ঝিকরগাছা : স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বিশাল আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
শনিবার বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির। 
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের ন্যায় ঝিকরগাছায়ও ছিল উৎসবের আমেজ। দলীয় নেতাকর্মীসহ সকল মানুষের মাধ্যে ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার বন্দনা। সেই আমেজের আনন্দ মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বিকাল সাড়ে ৪ টা থেকে উপজেলার বোটঘাটস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। বিকাল সাড়ে ৫টায় মিছিলটি শুরু হয়। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে ঝিকরগাছা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা মোড়ে যেয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
মিছিল শেষে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির। 
এ সময় তিনি বলেন, পদ্মা সেতু তৈরি মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান যেমন বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা আছে, ঠিক তেমনি এই পদ্মাসেতুর জন্য শেখ হাসিনা নাম বাংলার মানুষের কাছে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে দেশি ও বিদেশি যড়ষন্ত্র হয়েছে। সেই যড়ষন্ত্রের জাল ভেদ করে শেখ হাসিনার সাহসিকতা সারাবিশ্ব অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখেছে। আজ সারাবিশ্ব তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং প্রশংসা করছেন। 
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন অভিযাত্রায় এবার বিশ্বের কাছে বিস্ময় জাগানো আরও মাইলফলক অর্জনে যোগ হয়েছে ২৫ জুন। এটি শুধুই একটি সেতু নয়; এটি একদিকে যেমন এক সময়ের ৮৮ ভাগ বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার ইতিহাস সৃষ্টির সেতু, অন্যদিকে তেমনি ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাহস ও সততার উদাহরণ সৃষ্টির সেতু। প্রমত্ত পদ্মা নদীর ওপর সেতু একটি নির্মাণ শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। কারণ, পদ্মা সেতু নির্মিত হলে তা শুধু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাবে না, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে। কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, শিক্ষা, বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রেই এ সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে। সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এ অঞ্চলকে ট্রান্সএশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠিত হবে। মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বেড়ে যাবে বহুগুণ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটনসহ শিল্পের প্রসার ঘটবে। পদ্মার দুই পারে সিঙ্গাপুর ও চীনের সাংহাই নগরীর আদলে শহর গড়ে উঠবে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার এনামুল কবীর, সাংস্কৃতিক বিয়ষক সম্পাদক মীর বাবরজান বরুণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলী, জেলা পরিষদ সদস্য ইকবাল আহমেদ রবি, সাবেক চেয়ারম্যান বদরউদ্দীন বেল্টু, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, বাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হেলাল উদ্দীন খান, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আদম শফিউল্লহ,  পানিসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, সাবেক কমিশনার শরিফুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক শাহানা আক্তার,  আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান আক্তার, কাজল রায়হান, লিয়াকত আলী, এনামুল হক মনি, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াজ মাহমুদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম-আহবায়ক শামসুজ্জোহা লোটাস, যুবলীগ নেতা মুনিরুল ইসলাম মিশর, মিলন হোসেন সাদ্দাম, লিল্টু বিশ্বাস, নুরুল হক গাজী, আলমগীর হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা আবু সাঈদ মিলন, ছাত্রনেতা তানভীর আহমেদ রাব্বি, স্বদেশ রেজা প্রমূখ।