ঝিকরগাছায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের জমি দখলের অভিযোগ

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:৪৯:২৯ পিএম

এম আলমগীর, ঝিকরগাছা: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পল্লীতে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জমি জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির সকল কাগজপত্র থাকলেও অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে বলে বিভিন্ন জায়গায় করা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন ঐ মক্তিযোদ্ধার সন্তান সাজ্জাদ হোসেন।

উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইসলাম উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করেছেন, রাজাপুর মৌজার ১০৭২ ও ১০৭৩ দাগের ৪৬ শতাংশ জমি তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। গত ৬০ বছর যাবত তারা জমিটি চাষাবাদ করে আসছে। কিন্তু একই গ্রামের মৃত মোসলেম আলীর ছেলে শামসুর রহমান ও মৃত রমজান আলীর ছেলে মিজানুর রহমান দুর্বৃত্ত্বদের নিয়ে জমিটি দখল করে নেয়। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি হলেও তারা আদালতের রায় অমান্য করে জমিটি জোরপূর্বক দখলে রেখে চাষাবাদ করছে। গত ১৯ জুন তাদের চাষাবাদে করতে নিষেধ করতে গেলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে করে এবং মারপিট করতে উদ্যত্ত হয়। সুবিচার এবং জমি ফেরত পাওয়ার আশার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাজ্জাদ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান সরদার ও ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইসলাম উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন জানান, জমির সকল কাগজপত্র আমাদের পক্ষে কিন্তু তারপরেও তারা জোরপূর্বক জমিটি দখল করে রেখেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে আমি চেয়ারম্যান, মেম্বর এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে জানিয়েছি। সবাই আশ্বাস দিচ্ছে কিন্তু কেউ কোন সমাধান দিচ্ছে না। সর্বশেষ ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এবং আমার পরিবার সকলের কাছে সুবিচার আশা করছি।

এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শাহাজান আলী জানান, বিষয়টি শুনেছি। কাগজপত্র সব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে আছে। এলাকার মানুষও তাদের পক্ষে আছে। খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি নিয়ে বসাবসি হবে। আশা করি সুন্দর সমাধান হবে।

এব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত জানান, আমার কাছে এসেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কোর্টে মামলা বিচারাধীন আছে। তারপরও উভয়পক্ষকে নিয়ে জানা শোনার জন্য অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগের কপি এখনও পায়নি। পেলে বিষয়টি নিয়ে শোনা-বোঝা করব।

শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান সরদারের কাছে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।