নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছেন মণিরামপুর শহরের কাপুড়িয়াপট্টির কর্মী গার্মেন্টেসের মালিক মোজাফ্ফার হোসেন, জাফর গার্মেন্টেসের মালিক জাফর হোসেন ও মাবিয়া গার্মেন্টেসের মালিক ইয়ারুল হোসেন। ইতোমধ্যে চা বিক্রেতা আয়নালকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। কাপুড়িয়াপট্টির ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন পুরনো ওই তিন দোকানীকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, মণিরামপুর কাপুড়িয়াপট্টির কুলটিয়া রোডের পশ্চিম পাশে ১০০ নম্বর দূর্গাপুর মৌজা অংশে সরকারি খতিয়ানে ১৪০ দাগের জমিতে মোজাফ্ফর, জাফর হোসেন, ইয়ারুল ও আয়নাল গংরা প্রায় ২০ বছর ব্যবসা করছেন। হাট ক্রেতাদের সাথে খাজনার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে চলেছেন মোজাফ্ফর, জাফর, ইয়ারুল ও আয়নালসহ অনেকে। সম্প্রতি কাপুড়িয়াপট্টির ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিউ শাড়ি প্যালেসের মালিক মাস্টার মোশাররফ হোসেন ওই দাগের জমি ২০ বর্গ মিটার ডিসিআর নেন ৩০ হাজার টাকার মূল্যে। অতি গোপনীয়তার সাথে মোশাররফ হোসেনের এহেনও কর্মকান্ডে চরম ক্ষুদ্ধ একই সমিতির ব্যবসায়ীরা। গত ১৬ মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী বাংলাদেশ ফরম নং ২২২ এর এম ১৫৮৪৪ রশিদের মাধ্যমে টাকা জমা নিয়ে ডিসিআর দেন মাস্টার মোশাররফ হোসেনকে। খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, এরই মধ্যে এ জমি থেকে আয়নাল হোসেন নামের এক চা বিক্রেতাকে উচ্ছেদ করে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে মোশাররফ হোসেন। এছাড়া ওই জমিতে থাকা মোজাফ্ফর হোসেন গংদের উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন মহলে দেন দরবার চালাচ্ছেন মোশাররফ হোসেন। মোজাফ্ফর গংদের দাবি দীর্ঘ ২০ বছর এ জমিতে প্রতিষ্ঠান করে ব্যবসা করে চলেছি। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দিন কাটছে আমাদের। রীতিমত খাজনা দিয়ে ব্যবসা করে আসছি ২০ বছর। এখন সমিতির সভাপতি হয়ে কিভাবে এ কাজ করছেন বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সমিতির ক্ষুদ্ধ সদস্যরা সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে সাথে কথা বলেছেন। তিনি স্থানীয় পৌর মেয়র এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর উপর শান্তি পূর্ণ সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ক্লথ স্টোরের মালিক রবিউল ইসলাম।
সমিতির সভাপতি হয়ে বিশ^স্ততা ভঙ্গ করায় সভাপতির উপর চরম ক্ষুদ্ধ সমিতির অর্ধশতাধিক সদস্যরা। ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর গংরা ওই জমি থেকে সরে যাবেন না মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দফতরে আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই জমির ডিসিআরের মালিক বলে দাবি করেছেন।