ধর্ষণ মামলা করে নিরাপত্ত্বাহীনতায় স্কুলছাত্রীর পরিবার

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:০০:৩১ পিএম

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় অপহরণ করে ধর্ষণ, আবার সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা করে চরম নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছে ‘ধর্ষিতা’ সেই স্কুল ছাত্রীর পরিবার। ঘটনাটি ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের বৃত্তিভূলবাড়িয়া গ্রামে।   
জানা গেছে, উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের ভূলবাড়িয়া গ্রামের মিঠু শেখের ছেলে সজল শেখ জনৈকা স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাবের নামে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। একপর্যায়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে তার পরিবার নানা বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু সজল সেখানে যেয়েও তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। গত ১৫ এপ্রিল প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে রতনখালী এলাকার একটি মাছের ঘেরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য স্কুল ছাত্রীর মোবাইলে ধারণ করে তার ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জারে বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়া ওই ছাত্রীর বই-খাতা-ব্যাগ পুড়িয়ে দেয়ার ভিডিওটাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সজল। 
মামলার বাদি জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে ডুমুরিয়া থানায় গেলে আসামিরা প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করায় আমি বাধ্য হয়ে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আর মামলা করেছি বলে এখন আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এতে চরম নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছি।  
তবে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সজলের পিতা মিঠু শেখ বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। আমার ছেলে এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাদের পরিবারের সুনাম ক্ষুণœ করা ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এমন অপপ্রচার করছে।  
এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি মিস পিটিশন ৮২/২২ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই’কে নির্দেশ দেন। আর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া ভিকটিম আদালতে বিচারকের সামনে জবানবন্দিও দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও মামলার আরজিতে বর্ণিত মোবাইল ফোন সেটটি উদ্ধার করা যায়নি।