মামা বাড়িতে এসে সড়কে প্রাণ গেলো ভারতীয় কিশোরের

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:১৫:৫১ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: যশোরের মণিরামপুরে মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো ভারতীয় নাগরিক সৌমেন দাস (১৫) নামে এক কিশোর।  সৌমেন ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার গোঘাট থানার বৈকারা গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রামপুর জামতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায, মঙ্গলবার বেনাপোল ইমিগ্রেশন পার হয়ে বাংলাদেশে আসে। এ সময় বেনাপোল থেকে সিএনজি ভাড়া করে নিহতের মামা অনিল দাসের বাড়ি কেশবপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সাথে ছিলেন নিহত সৌমেন দাসের বাবা নিরঞ্জন দাস ও চাচাতো ভাই বিকাশ দাস ও তার স্ত্রী শিফালী দাস এবং তার মেয়ে নিশা দাস। পথিমধ্যে উপজেলার রামপুর জামতলা মোড়স্থ এলাকায় পৌঁছুলে সিএনজি থেকে রাস্তায় সিটকে পড়ে সৌমেন দাস। এ সময় পিছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা ঢাকা মেট্রো ড ১১-৮৯৫৩ নম্বরধারি ট্রাক সৌমেনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সৌমেন দাস। তবে, সিএনজি থাকা অন্যরা অক্ষত থাকেন।

সংবাদ পেয়ে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর বাণী ইসরাইলসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ  ঘাতক ট্রাকটি আটক করতে পারলেও চালককে আটক করতে পারেনি। এ সময় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতের পিতা নিরঞ্জন দাস জানান, ‘নিহত ছেলে সৌমেন দাসহ ৫ জনই কেশবপুরে মামার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলাম। সকালেই পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন পার হয়ে বেনাপোলে আসি। সেখান থেকে সিনজিতে যেতে যেয়ে দুর্ঘটনায় আমার ছেলেটার মৃত্যু হলো। তিনি  আরো বলেন আমি সিএনজির ভিতরে ছিলাম। আমাদের কারোর কোনো ক্ষতি হয়নি, সিএনজিরও কিছু হয়নি’।

থানার ওসি (তদন্ত) গাজী মাহবুর রহমান জানান, নিহত সৌমেন দাস ভারতীয় নাগরিক বিধায় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।