মেয়ের প্রেমিকের হামলায় মা-বাবা হাসপাতালে

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৭:৪২:৫১ এম

মাগুরা প্রতিনিধি : মেয়ের প্রাক্তন প্রেমিকের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মা ও বাবা। শনিবার  রাতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের রায়পাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ইলিয়াস মোল্যা (৪০) জানান, তার মেয়ে অনিমা (১৬) উপজেলা সদরের বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। প্রতিবেশী রব্বান বিশ্বাসের ছেলে মারুফ বিশ্বাসের (২২) সাথে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেয়ের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মারুফ ও তার স্বজনরা আমার পরিবারের লোকদের নানা ভাবে হামলা মারধর ও হয়রানি করে আসছে। মারুফ উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে তার পরিবার জানায়। সম্প্রতি অনিমাকে একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রাজপাট গ্রামের বাচ্চু মোল্যার ছেলে মনিরুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরও অনিমাকে তালাক দিয়ে বিয়ে করার জন্য তার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। ঈদে অনিমা বাবার বাড়ি বেড়াতে আসলে মারুফকে বিয়ে করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারধর করে। জানাজানি হলে মেয়ের বাবা ও তার স্বজনরা মারুফ বিশ্বাসকে মারধর করে। এ ঘটনায় মারুফসহ পাঁচজনের নামে মহম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ইলিয়াস মোল্যা। এই ঘটনার জেরে মারুফ মোল্যা ও তার স্বজনরা ১০-১২জন মিলে শনিবার রাতে ইলিয়াস মোল্যা ও তার স্বজনদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে অনিমার বাবা ইলিয়াস মোল্যা (৪০), মা রেহেনা পারভীন (৩৫) গুরুতর আহত হন। তাদেরকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ছেলে জিহাদ (১৫) আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় মারুফের চাচা সাহের আলী (৪৫) আহত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ইলিয়াস মোল্যা জানান, মারধর ও কুপিয়ে জখম করার পর রায়পাশা তিন রাস্তার মোড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে লুট করে নিয়ে যায়। এখন হাসপাতালে এসে মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

প্রাক্তন প্রেমিক মারুফ বিশ্বাস মোবাইল ফোনে প্রেমের কথা স্বীকার করলেও হামলা মারধোরের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকসেদুল মোমিন জানান, মারামারির ঘটনায় মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম নিয়ে তিনজন ভর্তি আছেন। তারা আশঙ্কা মুক্ত।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকরামুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ ঘটনায় মাললার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।