নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর চৌগাছার এইচএম ব্রিকস থেকে অগ্রিম ইট ক্রেতা জনি বিশ্বাসকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগের ৮ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। রোববার চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মাহাবুবুর রহমান আহত জনির মামা বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। অতিরিক্তি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহমেদ অভিযোগটি গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন চৌগাছার থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো ঝিনাইদহ মহেশপুরের কমলাপুর গ্রামের মমিনুর রহমান মধুর ছেলে মানিক হোসেন, সবুজ হোসেন, সুমন হোসেন, মৃত বজলুর রহমানের দুই ছেলে মমিনুর রহমান, সন্টু রহমান, চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মুত শহর আলীর ছেলে জহর আলী, চাঁদপাড়া গ্রামের সলেমান খার ছেলে গোলাম রসুল ও খড়িঞ্চা গ্রামের মৃত কুঞ্জু দাসের ছেলে আনন্দ দাস।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মৃত ফটিক বিম্বাসের ছেলে জনি বিশ্বাস এইচএম ব্রিকস থেকে অগ্রিম ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ২৩ গাড়ি এক নম্বর ইট ক্রয় করেন। এ টাকা গ্রহণ করেছিলেন আসামি গোলাম রসুল। চলতি বছরের ১৯ মার্চ জনি ভাটায় ইট আনতে যান। ভাটার লোকজন তাকে ইট দিতে তাল বাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে আসামিরা জনিকে মারপিট ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় জনির কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন আসামিরা ছিনিয়ে নেয়। গুরুতর আহত জনিকে প্রথমে চৌগাছা ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভার্তি করে। জনির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল রেফার্র করা হয়। বর্তমানে জনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে আহত জমিন মামা মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।