Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

ইজিবাইক চালক সাকিব হত্যায় মনিরুলের স্বীকারোক্তি

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১ জুলাই , ২০২৫, ০৫:৩৬:২৮ এম

# রেঞ্জ ও চাকু উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের শার্শার গোগা গ্রামের কারিকরপাড়ার ইজিবাইক চালক কিশোর সোলাইমান সাকিব হত্যা মামলায় আটক মনিরুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার খরচ চালানোর টাকা জোগাড় করতে তারা ইজিবাইক ছিনতাই করে সাকিবকে হত্যা করেছিল। এ হত্যাকান্ডের সাথে মিলন, বিপ্লবসহ কয়েকজন জড়িত বলে জানিয়েছে মনিরুল।

বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল আসামির এ জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মনিরুল ইসলাম ঝিরকগাছার চান্দেরপোল গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মোল্যার ছেলে। এর আগে মিলন, বিপ্লব ও ইজিবাইক ক্রেতা প্লাবন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই রেজোয়ান জানিয়েছেন, মনিরুলকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত স্লাইরেঞ্জ, চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মনিরুলকে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

মনিরুল ইসলাম জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে বেশকিছু মামলা চলমান। মামলার টাকা জোগাড় করতে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মিলনকে বাগআঁচড়া বাজার থেকে ইজিবাইক ভাড়া করে গদখালি নিয়ে আসতে বলে। মিলন বাগআঁচড়া বাজারে যেয়ে বিল্পবের মাধ্যমে ইজিবাইক ভাড়া করে গদখালি নিয়ে যায়। মিলন ইজিবাইকের চালক সাকিবের মোবাইল ফোন দিয়ে তাকে ফোন দিয়ে গদখালি আসতে বলে। তারা গদখালির একটি কুল বাগানে কুল খেতে যাওয়ার কথা বলে সাকিবকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। সাকিব বুঝতে পেরে দৌড় দেয়। এ সময় মনিরুল তাকে ধাওয়া করে কাছে থাকা স্লাইরেঞ্জ দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর অপর দুইজন সাকিবকে চেপে ধরলে মনিরুল তার মাথার ভেতর চাকু ঢুকিকে হত্যা নিশ্চিত করে ইজিবাইক নিয়ে চলে যায়। এরপর তারা ইজিবাইকটি প্লাবনের কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিল বলে জানিয়েছে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি সাবিক নানার ইজিবাইকে যাত্রী নিয়ে বাগআঁচড়া যায়। সন্ধ্যায় সাকিবকে তার নানা ইজিবাইক নিয়ে দ্রুত বাড়ি চলে আসতে বলে। রাত বেশি হওয়ায় সাকিবের মোবাইলে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে অনেক খোঁজাখুজি করে সাকিবকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা। পরদিন সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে উলাশীর বড়বাড়িয়া মাঠের কুল বাগানের পাশ থেকে সাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাকিবকে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি নিয়ে গেছে দূর্বত্তরা। এব্যাপারে নিহত সাকিবের নানা অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই রেজোয়ান হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক ও ইজিবাইক উদ্ধার করেন। ২০ জানুয়ারি আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে দুইজন হত্যা ও চোরাই ইজিবাইক কেনার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এদিন আটক মনিরুলের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আদেন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামি মনিরুলের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মনিরুলের স্বীকারোক্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যায় ব্যবহৃত স্লাইরেঞ্জ ও চাকু উদ্ধার করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে মনিরুলকে আদালতে সোপর্দ করে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে। 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)