হালনাগাদ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে স্ক্যান হসপিটাল!

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:২৫:৫২ এম

সেই নাজমার ফের অস্ত্রোপচার

নিজস্ব প্রতিবেদক: হালনাগাদ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনেই অবস্থিত স্ক্যান হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেখানে রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে এসে প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপচিকিৎসার শিকার রোগীর স্বজনদের সাথে প্রতারণাও করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। সর্বশেষ ভুল অস্ত্রোপচারের শিকার প্রসূতি নাজমা খাতুনের বৃহস্পবিার খুলনার হসপিটালে ফের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।  

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্ক্যান হসপিটালের হালনাগাদ লাইসেন্স নেই। ২০১৮-১৯ সালের মেয়াদউত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিগত দিনের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন স্ক্যান হসপিটালের মালিক পক্ষকে হালনাগাদ লাইসেন্স করার তাগিদ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। বিষয়টি বর্তমারন সিভিল সার্জনকে অবগত করা হয়েছে। অপচিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

ভুল অস্ত্রোপচারের শিকার নাজমা খাতুনের ভাই রনি জানান,  বৃহস্পতিবার খুলনার খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে নাজমার ফের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অপারেশনে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক তাদের অবগত করেছেন স্ক্যান হসপিটালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় প্রসূতি নাজমার খাদ্যনালী কেটে ফেলা হয়। সঠিক চিকিৎসার অভাবে সেখানকার নাড়ি পচে গেছে। খুলনার চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাড়ির পচে যাওয়া অংশ কেটে ফেলেছেন। এক প্রশ্নে রানা  জানান, স্ক্যান হসপিটাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে খুলনায় নেয়ার জন্য শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিয়েছেন। আর কোনো খোঁজ খবর রাখেননি। চিকিৎসক মাহফুজা মনির ভুলের কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর রোগী জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সঠিক বিচারের আশায় তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, স্ক্যান হসপিটালের সকল কাগজ পত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কাগজ পত্রে ত্রুটি মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিভিল সার্জন আরও জানান, রোগীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় খাদ্যনালী কেটে ফেলার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।