কোভিডে শনাক্ত রোগী ছাড়ালো চার হাজার

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৩:২৫:৫৭ পিএম

বিডিনিউজ : ওমিক্রনের দাপটে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক দিনেই বাড়ল ৩০ শতাংশের বেশি, করোনাভাইরাস মহামারীতে বাংলাদেশ ফিরে গেল ২০ সপ্তাহ পেছনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৪ হাজার ৩৭৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
একদিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল সর্বশেষ গত বছরের ২৬ অগাস্ট, সেদিন ৪ হাজার ৬৯৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯ হাজার ৪২ জন। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
২০ সপ্তাহ পর নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হারও ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
গত এক দিনে দেশে মোট ২৯ হাজার ৮৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে। বৃহস্পতিবার এই হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ ছিল।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৩৫১ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩০৬ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৬০৭ জন, যা আগের দিন ২৪ হাজার ৫৮৬ জন ছিল।
গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৮২ শতাংশ। দেশের ১৩ জেলায় একদিনে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ-এই তিন ভাগে ভাগ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ঢাকা ও রাঙামাটিকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’বা লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকা জেলায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ শতাংশ আর রাঙামাটিতে ৭ শতাংশ।
হলুদ জোনে থাকা রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে। দেশের বাকি ৫৪টি জেলা আছে সবুজ জোনে।
গত এক দিনে যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ২ জন পুরুষ, ৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, ২ জন চট্টগ্রাম ও ১ জন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ১ জন করে মোট ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০, ৩১ থেকে ৪০ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে পরীক্ষা করা ২৯ হাজার ৮৭১টি নমুনা মিলিয়ে এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৮ হাজার ৯২টি নমুনা।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ বছর ১২ জানুয়ারি তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। তার আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গতবছর ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছর ৫ ডিসেম্বর কোভিডে মোট মৃত্যু ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৫ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ৩২ কোটি ৬ লাখের বেশি রোগী।