মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আশিক জোমাদ্দার (২৫) নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁেধ মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় সোহেল খাঁন নামে এক ইউপি সদস্যসহ ৪ জনের নামে বৃহস্পতিবার রাতে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। সোহেল খাঁন উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার এবং ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক। সে বড় জামুয়া গ্রামের মৃত খলিল খাঁনের ছেলে।
পার্শ্ববর্তী জিয়ানগর উপজেলার চরনী পর্ত্তাসী গ্রামের কবির আকনের ছেলে আবদুস সবুর আকনের একটি মোবাইল ফোন মঙ্গলবার চুরি করে নেয় ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি রুবেল খান। সে মেম্বার সোহেল খানের ছোট ভাই। মোবাইল উদ্ধারের বিষয়ে জানাতে বুধবার দুপুরে ইউপি মেম্বার সোহেল খাঁনের বাড়িতে যান মোবাইল মালিক আবদুস সবুরের বন্ধু চরনী পর্ত্তাসী গ্রামের আশিক জোমাদ্দার। বিষযটি নিয়ে আাশিক ও সোহেল খানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আশিককে আটক করে তার হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। চলে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন। গুরুতর আহত আশিককে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মুফতি কামাল হোসেন বলেন, আশিকের সমস্ত শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে তাছাড়া চামড়া থেতলিয়ে কালো হয়ে যাওয়ায় তাকে খুলনা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ দিকে মারপিটের দৃশ্যটি কেউ মোবাইল ফোনে ভিডিও করে বৃহস্পতিবার “চিংড়াখালী বাজার” নামক একটি আইডি থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিলে ঘটনাটি ভাইরাল হয় এবং প্রশাসনের টনক নড়ে।
পুলিশের একটি টিম একাধিক মামলার আসামি সোহেল খাঁন ও তার সহযোগীদের আটকের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়েছে বলে থানা অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান। পুলিশ সোহেলের বাড়ি তল্লাশী করে কয়েকটি রামদা, হকষ্টিক ও লোহার পাইপ উদ্ধার করেছে বলে ওসি জানিয়েছেন।