নিজস্ব প্রতিবেদক :পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, এই সরকারের আগে সাংবাদিকদের যে দুর্দশা ছিলো, সেখান থেকে অনেক পরিত্রাণ হয়েছে। সাংবাদিকদের দুর্দিনে বঙ্গবন্ধু যেমন পাশে ছিলেন, তেমনি তার কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনাও সাংবাদিকদের পাশে রয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের মতো বিপর্যস্ত সাংবাদিকদের কল্যাণে এভাবে এগিয়ে আসেননি কোনো সরকার।
শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মুক্তিযুদ্ধ অসাম্প্রদায়িকতা ও পেশাদারিত্বে অবিচল’ শ্লোগানে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতার একটা সুষ্ঠু নীতিমালা থাকা দরকার। ভালো কোয়ালিটি সম্পূর্ণ সংবাদপত্র বা সাংবাদিক না হলে সংবাদপত্রের প্রতি মানুষের যে অগাধ শ্রদ্ধা-বিশ্বাস আস্থা সেটি নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের কল্যাণ ফান্ডে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ অতিথি যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। যশোরের সাংবাদিকরা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পাশাপাশি চেতনা ও মূল্যবোধের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে।
যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের (জেইউজে) সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক।
তিনি বলেন বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। তাদের কাছে মানুষ কিছু আশা করে না। আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকে ও দাবি করে। কারণ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। এদলটি ক্ষমতায় আসলে মানুষ অনেক কিছু পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসায় দেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় থাকাকালিন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন করাসহ বসার জায়গা করেছে। আন্দোলন করে অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তাবয়ন করেছি। নবম ওয়েজ বোর্ডের জন্য আন্দোলন করছি। সরকারের কাছে আট দফা দিয়েছি। আলোচনার মাধ্যমে পুরণ করতে চাই। এ সরকারের আমলে অনেক পেশার মানুষ অনেক কিছু পেয়েছে। সাংবাদিকরা বঞ্চিত হয়েছে। আমরা কাজ করে খাবো,এজন্য ন্যায্য বেতন চাই। অবসরে গেলে কিছু নিয়ে যেতে চাই।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মধুসূদন মন্ডল, মহাসচিব দীপ আজাদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা, জেইউজে’র সাবেক সভাপতি আমিনুর রহমান মামুন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের খুলনা বিভাগীয় সহসভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, যুগ্ম মহাসচিব হেদায়েত উল্লাহ,সদস্য শাহাবুদ্দিন আলম, গোপীনাথ দাস। পরিচালনা করেন যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন। অনুষ্ঠান শুরুর আগে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে ও ক্রেস্ট প্রদান করে সংবর্ধনা দেয়া হয়।