কোভিড-১৯ : মার্চের মধ্যে ইউরোপে ‘আরও ৭ লাখ মৃত্যু হতে পারে’

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:৩৩:৪৩ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, মার্চের মধ্যে কোভিড-১৯ এ ইউরোপে ও এশিয়ার কিছু অংশে আরও সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
ডব্লিউএইচও ইউরোপ অঞ্চল বলতে যে এলাকাগুলোকে বুঝিয়েছে সেখানকার ৫৩টি দেশে ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  
২০২২ সালের মার্চের মধ্যে ৪৯টি দেশের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর (আইসিইউ) ওপর ‘উচ্চ অথবা প্রবল চাপ’ পড়বে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
ইউরোপে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় অস্ট্রিয়া ফের লকডাউন জারি করেছে আর অন্য দেশগুলো নতুন বিধিনিষেধ আরোপের কথা বিবেচনা করছে।
টিকা দেওয়া পূর্ণ হয়েছে এমনটি বিবেচনা করতে শিগগিরই তাদের নাগরিকদের জন্য বুস্টার ডোজ বাধ্যতামূলক করতে পারে ফ্রান্স, জার্মানি ও গ্রিসসহ কয়েকটি দেশ।
কিন্তু ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেই নতুন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ দেখা গেছে। নেদারল্যান্ডসে আংশিক লকডাউন জারি করার পর থেকে টানা কয়েক রাত ধরে দাঙ্গা হয়েছে।
বাড়তে থাকা সংক্রমণ মোকাবেলায় দেওয়া নতুন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও ইতালিতেও হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, তাদের হিসাব অনুযায়ী ইউরোপ অঞ্চলে মৃত্যুর প্রধান কারণ কোভিড-১৯।
মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি বলেছে, “এখানে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যা আগামী বসন্তের মধ্যে ২২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে চলতি ধারার ভিত্তিতে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।”
সম্প্রতি নিশ্চিত করা কোভিড-১৯ জনিত মৃত্যু দ্বিগুণ হয়ে দৈনিক প্রায় চার হাজার ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
শুধু রাশিয়াতেই দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা সম্প্রতি ১২০০ ছাড়িয়ে গেছে।  
ডব্লিউএইও বলছে, কিছু দেশে বহু সংখ্যক লোকের টিকা না নেওয়া ও করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপকতা ইউরোপ অঞ্চলে উচ্চ সংক্রমণ হারের প্রধান কারণ।
যারা এখনও টিকা নেননি তাদের তা নিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালক ডা. হ্যান্স ক্লুগ।
তিনি বলেছেন, “অপ্রয়োজনীয় শোকবহ ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে এবং শীত মৌসুমে জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও ক্ষতি সীমিত করতে সাহায্য করার সুযোগ আমাদের সবার আছে আর এটি আমাদের দায়িত্বও।”
ইউরোপীয় দেশগুলোর পাশাপাশি ডব্লিউএইচও এশিয়ার ইসরায়েল ও সাবেক সোভিয়েত ভুক্ত তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের মতো রাষ্ট্রগুলোকেও ইউরোপ অঞ্চলভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করেছে।