নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের চৌগাছার জামিরা গ্রামের যুবদল নেতা রায়হান হত্যা মামলায় ১৫ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সাক্ষীরা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মঙ্গলবার এক রায়ে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক সোহানী পূষণ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন এপিপি অসীম কুমার ঘোষ ও আলতাফ হোসেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলো, চৌগাছা সাদীপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল হোসেনে ছেলে বিশারত আলী ওরফে বিষে মেম্বর, একই গ্রামের শরিফুলের ছেলে শফিকুল ইসলাম, আমির হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গির হোসেন, মৃত মফেজ উদ্দিনের ছেলে নওশের আলী, মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আফসার আলী, মহিউদ্দিনের ছেলে মাওলা, আব্দুলের ছেলে বাবুল আক্তার, ওমর আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন, বিষে মেম্বরের ছেলে আরিফ, আফসারের ছেলে আশরাফুল, দুলাল হোসেনের ছেলে জুয়েল হোসেন, কাশেম আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম, মৃত বেলায়েত হোসেনের দুই ছেলে ওমর আলী ও মহিউদ্দিন মহিদ এবং মৃত মোস্তাক আলীর ছেলে আলী আকবর।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রায়হান উদ্দিন চৌগাছার জামিরা গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে ও ফুলসরা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০১২ সালের ৩ জুন রাতে যুবদল নেতা রায়হান উদ্দিনসহ ২০ জন একটি ট্রাকে করে পার্শ্ববর্তী কোটচাঁদপুরে সার্কাস দেখতে যান। পরেরদিন ভোরে তারা কোটচাঁদপুর থেকে চৌগাছায় ফিরছিলেন। ভোর ৪টার দিকে সাদীপুর গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় বিশে মেম্বারের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ গরুর গাড়ি রাস্তায় রেখে তাদের ট্রাক আটকে দেয়।
এরপর ট্রাকের যুবকদের বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে রায়হান মারাত্মক আহত হলেও তাকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ রায়হানকে সাদীপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যায়। এ ব্যাপারে নিহত রায়হানের পিতা মহাসিন বিশ্বাস ওই ১৬ জনকে আসামি করে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ওই ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরবর্তিতে এ মামলায় বিষে মেম্বরের স্ত্রীকে অব্যহতি দিয়ে ১৫ আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন।