আক্ষেপ নিয়ে অবসরে তুষার ইমরান

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:০৬:০০ পিএম

ক্রীড়া প্রতিবেদক : আগের দিন বলেছিলেন, চেষ্টা করবেন ম্যাচটা খেলেই বিদায় নেওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি তুষার ইমরান। তাই আক্ষেপ নিয়েই শেষ হলো ক্রিকেটে তার পথ চলা। ব্যাট তুলে রাখলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দেশের সফলতম এই ব্যাটসম্যান।  মাত্র ২৮ রানের জন্য ছোঁয়া হলো না ১২ হাজার রানের মাইলফলক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের নেই ১০ হাজার রানও। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ড শুরুর আগে ৯ হাজার ১৯৩ রান নিয়ে দুই নম্বরে আছেন নাঈম ইসলাম। নয় হাজারের বেশি রান আছে কেবল অলক কাপালীর (৯ হাজার ১৩০)। বিকেএসপিতে রোববার ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মাঠ থেকেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন তুষার। এদিন মাঠে থাকা দুই দলের ক্রিকেটাররা তাকে ‘গার্ড অব ওনার’ দেন। চলতি মাসের শুরুতে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটি হয়ে রইল খুলনা বিভাগের এই ব্যাটসম্যানের শেষ। চোটের কারণে জাতীয় লিগের গত রাউন্ডে খেলতে পারেননি তুষার। খুব ইচ্ছে থাকলেও শেষ রাউন্ডেও খেলা হলো না তার। “চোট না ভোগালে হয়ত আরেকটা মৌসুম খেলতে পারতাম। তাহলে হয়ত মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারতাম। কিন্তু স্রেফ ওই কয়টা রানের জন্য আর ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। পাঁচ ইনিংসে যে কয়টা রান দরকার ছিল সেটা করতে পারিনি। একটু আক্ষেপ হওয়ারই কথা। সব মিলিয়ে মনে হয়েছে, অবসরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়।” ২০০০-০১ মৌসুমে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ দিয়ে পেশাদার ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয় তুষারের। গত ২১ বছরে ১৮২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৪২.৭৫ গড়ে রান করেছেন ১১ হাজার ৯৭২। লাল বলের ক্রিকেটে ৩২টি সেঞ্চুরি আছে তার। রানের মতো এখানেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার ওপরে তিনি। ফিফটি আছে ৬৩টি। সর্বোচ্চ ২২০। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ তার গত বছরের মার্চে। এই সংস্করণে ১৭৩ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও ৩০ ফিফটিতে রান করেছেন ৪ হাজার ৪৩৯। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৮টি, যেখানে রান কেবল ১০৩। সম্ভাবনার ঝলক দেখিয়ে ২০০১ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যায় তুষারের। এই সংস্করণে ৪১ ম্যাচের সবশেষটি খেলেছেন ২০০৭ সালে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২ ফিফটিতে রান কেবল ৫৭৪। পরের বছরে পা রাখেন টেস্ট ক্রিকেটে। সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারও তার দীর্ঘ হয়নি। পাঁচ বছরে খেলেছেন স্রেফ ৫ ম্যাচ। রান কেবল ৮৯।